আজ রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খালেদা জিয়ার মামলার রায় কি পূর্বেই নির্ধারিত:ফখরুল

মামলার রায়

খালেদা জিয়ার মামলার রায় কি পূর্বেই নির্ধারিত:ফখরুল মামলার রায় সংবাদচচা ডেস্ক:

জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের আগাম উক্তির সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায় কি পূর্বেই নির্ধারিত? এই অবৈধ সরকার পূর্বেই রায় লিখে রেখেছে! তবে এই বিচারের প্রহসনের কোনও প্রয়োজন ছিল না। দেশে যে আইনের শাসন নেই-ন্যায় বিচার সুদূর পরাহত সেটাই প্রমাণিত হলো বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

অল্প কিছুদিনের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে  করেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিচার হবে প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই- সরকারের মন্ত্রীদের এ বক্তব্য উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন পর্যন্ত এই বক্তব্যের জন্য আদালত অবমাননার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে বলপূর্বক দেশ থেকে বহিস্কার ও পদত্যাগে বাধ্য করার মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শেষবারের মতো নিঃশেষ হয়েছে। নিম্ন আদালতের বিচারকদের আচরণবিধি সরকারের ইচ্ছা মতোই হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে।

খালেদা জিয়াকে বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকার মিথ্যা মামলায় রাজনীতি থেকে দুরে রাখতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ সারাদেশে নতুন করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপকহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন শুরু করেছে। একই সাথে ক্রসফায়ার এবং গুমের ঘটনা বেড়ে চলেছে।

এই বছর নির্বাচনের বছর উল্লেখ করে মির্জা ফখররুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য যখন সব রাজনৈতিক দলকে সমান সুযোগ সমান্তরাল মাঠ তৈরি করার প্রয়োজন বেড়ে চলেছে। তখন এই ধরনের ক্রসফায়ার, গুম, খুন, গ্রেফতার মিথ্যা মামলা, দমন, নির্যাতন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সকল সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে। এই অনৈতিক সরকার পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার, ক্রসফায়ার ও গুমের মধ্য দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

ভোটারবিহীন নির্বাচনে স্বঘোষিত সরকার আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচনের পূর্বেই বিরোধী দলকে মাঠ থেকে দুরে সরিয়ে দেওয়ার হীন চক্রান্ত করছে।

খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য ২৪টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তার মধ্যে দু’টো মিথ্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সপ্তাহে তিন দিন তাকে আদালতের হাজির হওয়ার নজীরবিহীন নির্যাতন, তারিখে তারিখে জামিন দেওয়ার নজীরবিহীন আদেশ সমগ্র বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এটা স্পষ্ট হচ্ছে এখন যে নজীরবিহীন দ্রুততার সাথে মামলা শেষ করার প্রচেষ্টা প্রমাণ করে যে, এই সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় করে বলেই তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়।

এসময় তিনি ২০০৭ সাল থেকে ২২ জানুয়ারি ২০১৮ সাল পর্যন্ত্ম সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলার পরিসংখ্যন তুলে ধরে বলেন, এখন পর্যন্তক দলের জাতীয় নেতাসহ সারাদেশের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরম্নদ্ধে পঞ্চাশ হাজার চুয়াত্তরটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ১১ লক্ষ্য ৯১ হাজার ৪ শত ৪৯জনকে আসামি করা হয়েছে।

সর্বশেষ ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে ২২ জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত্ম দেশের ৭টি বিভাগে মামলা হয়েছে ৫২৮টি, আসামি করা হয়েছে ২৪ হাজার ৭শত ৭জনকে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১হাজার ৫শত ১৯জনকে। এছাড়া গুম হয়েছে ১জন ও খুন হয়েছেন ১জন।