আজ রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাদারীপুরে প্রেমিকাকে জখমের পর হাসপাতালে ভর্তি

মাদারীপুরে প্রেমিকাকে

মাদারীপুরে প্রেমিকাকে জখমের পর হাসপাতালে ভর্তি
মাদারীপুরে প্রেমিকাকে

শহিদুল ইসলাম লিখন :

চার বছর প্রেমের সম্পর্ক। একে অপরের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত। অতঃপর অন্য ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি।ক্ষিপ্ত প্রেমিক শাওন মঙ্গলবার রাতে কেয়ার বাসায় ঢুকে ব্লেড দিয়ে প্রেমিকার দুই গালে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

কেয়ার পরিবার রাতেই মাদারীপুর সদর হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় কেয়াকে ভর্তি করে এবং শাওনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাত থেকেই আসামীদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় খোয়জপুরের টেকেরহাট এলাকা থেকে প্রধান আসামী শাওনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পাশাপাশি এলাকায় বাড়ি শাওন ও কেয়াদের। কেয়ার বাড়ি শহরের চৌরাস্তায় এবং শাওনের বাড়ি রকেট বিড়ি।

তাদের প্রেমের সম্পর্কে পারিবারিক বাঁধা না থাকায় ভালভাবেই কেঁটে যায় চার বছর। দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক হঠাৎ করে থমকে যায়। দূরত্ব বাড়তে থাকে শাওন ও কেয়ার প্রেমের সম্পর্কের। এক পর্যায়ে শাওন জানতে পারে শহরের আরেকটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছে কেয়া। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে শাওন।

মঙ্গলবার রাত ১০ টায় শাওন দেখা করতে যায় কেয়ার সাথে তাদের বাড়িতে। এসময় দুজনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাওনের কাছে থাকা ব্লেট দিয়ে কেয়ার দুই গালে আঘাত করে শাওন পালিয়ে যায়। এতে কেয়ার দুই গাল কেটে যায়। কেয়ার পরিবার কেয়াকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ হাসপাতালে কেয়াকে দেখতে যায়। পরে কেয়ার পরিবার শাওনসহ ৩ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে রাতেই পুলিশ আসামীদের ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে।বুধবার সন্ধ্যায় খোয়জপুরের টেকেরহাট থেকে শাওনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কেয়ার ভগ্নিপতি রাকিব জানান, ‘আমার শ্যালিকাকে অনেক দিন ধরে শাওন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্তও করত। এ জন্য আমার শ্যালিকা কলেজ ও প্রাইভেট পড়তে যেতে ভয় পেত। কেয়ায় ওপর হামলাকারী শাওনের বিচাই চাই।

শাওনের বাবা আনু খান বলেন, ‘আমার ছেলে কাউকে ভালোবাসতে পারে। তার সাথে ওই মেয়ের চার বছর ধরে প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে। কিন্তু বাসায় ঢুকে কোনো মেয়েকে জখম করে আসা, এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য এমনটা করা হচ্ছে।

’ ডাক্তার আসিফ আল-নাঈম বলেন, ‘গাল কাঁটা অবস্থায় কেয়া নামের একটি মেয়ে চিকিৎসা নিতে আসে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।

এব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, প্রেমে প্রত্যাখান করার একটি মেয়েকে কুপিয়েছে দুর্বিত্তরা এ খরব পেয়ে মেয়েটিকে দেখতে আমি হাসপাতালে ছুটে যাই। মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এরপর আমি ঘটনাস্থলেও গিয়েছি। অনেকের সাথে কথা বলেছি। মেয়েটির পরিবার ৩ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ করছে, মামলা নিয়েছি। আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত চলছে।