আড়াইহাজার প্রতিনিধি:
আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে মাদকসেবীদের নিয়মিত আড্ডা বসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন প্রায় ৭ শতাধিক রোগী। বিকাল হতেই হাসপাতালটির ভেতরে জমজমাট আড্ডা বসলেও চোখে পড়ছে না কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয় স্কুুল ও কলেজ ফাঁকি দিয়ে কিছু শিক্ষার্থী গাছের ছায়ায়, ডরমিটরির পেছনসহ বিভিন্ন স্থানে আপত্তিকর অবস্থায় মেতে থাকেন। অবস্থায় হাসপাতালের পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, সেই সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন এখানে কর্মরত ডাক্তার, নার্সসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জানা গেছে, সন্ধ্যা গড়ালেই প্রতিদিন মাদকসেবীদের একটি চক্র এখানে এসে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন রকমের নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে।
হাসপাতালের পুকুর পাড়, ডরমিটরি ও পুরনো বাসার আশপাশে তারা আসর বসায়। হাসপাতালের মেইন গেট ছাড়াও বাউন্ডারি ওয়াল টপকে রাতে তারা অবাধে প্রবেশ করে। তারা এতই বেপরোয়া ও প্রভাবশালী যে, অনেক সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও কিছু করার থাকে না। এরই মধ্যে এসব মাদকসেবীকে হাসপাতাল চত্বর থেকে চলে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালের বেশ কয়েকজন কর্মচারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
মাদকসেবীদের অবাধ বিচরণে পুরো হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত চুরি-ছিনতাইয়ের মতো নানা অঘটনও ঘটছে। হাসপাতালের কয়েকজন নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে এখানে ছেলেমেয়েরা প্রতিদিন আড্ডা জমায়। তিনি কয়েকজনকে এখান থেকে চলে যাওয়ার কথা বললে উল্টো তাকে তারা হুমকি দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিব ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালের ভেতরে মাদক সেবীরদের আড্ডা বা আখড়া এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এখানে স্থানীয় কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী মাঝে মধ্যে বসে আড্ডা দিয়ে থাকেন।