সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
২০১৫ সালে চার সদস্যের নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যে কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন হাসনাত রহমান বিন্দু। এরপর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক রিয়াদকে সভাপতি ও বিন্দুকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে আহ্বায়ক কমিটি থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও তাদের দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি। এতো দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও মহানগর ছাত্রলীগ দিতে পারেনি কমিটি। যার ন্যায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
রিয়াদের পূর্ব ভাষ্য অনুযায়ী তার আওতাধীন এলাকায় প্রতিটা ওয়ার্ড বা ইউনিট কমিটি গঠনের এখতিয়ার তিনি রাখে। পূর্বে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি সভায় তিনি বলেছিলেন, প্রথমে ২৭টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন শেষ করে থানা কমিটিগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে। পরবর্তীতে ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের দিয়ে সম্মেলনের মাধ্যেমে থানা কমিটি গঠন করা হবে।
তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মহানগর ছাত্রলীগের আওতাধীন ৪টি ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দরের ১নং, ৩নং, ৬নং ও ৮নং সহ প্রায় ১৭ টি ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখানো হয়নি থানা কমিটিগুলো।
জানা যায়, ১২ বছর পূর্বে হওয়া বন্দর থানা ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফের বয়স ৪৭। এতো বয়স হওয়ার পরেও সে ছাত্রলীগ নেতা। এই কমিটিতে নেই কোন সাধারণ সম্পাদক তবে সহ-সভাপতি আব্দুস সালামের বয়সও চল্লিশ উর্দ্ধে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক বর্তমান কাউন্সিলর বাদল। তাকে আহবায়ক করে এক যুগ পূর্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ওই কমিটি এখনো বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়নি। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য কাউন্সিলর বাদলকে বেশ কয়েকবার মুঠোফোন দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
২০১৫ সালে আংশিক কমিটি অতঃপর ১৮’তে পূর্ণাঙ্গ কমিটি। আর কিছু দিন পর এক বছর গতে যাচ্ছে। তবে এখানো সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর থানা কমিটিগুলোতে আদুভাইদের দায়িত্বে। তাদের অনেকের বয়স ৪০’র বেশী। এখানো কেনো থানা কমিটিগুলো হয়নি এমন প্রশ্ন করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদকে দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকা অফিস থেকে মুঠোফোন করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন,
একি প্রশ্ন জানতে চাওয়া হলে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দুকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।