নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, মরহুম খাজা রহমত উল্লাহ ভাইকে আমরা আপন মানুষেররাই ব্যথিত করেছি। তার এত গুন থাকা সত্ত্বেও মহানগর আওয়ামীলীগে তার জায়গা হয়নি। তার নামটি কেটে দেওয়া হয়েছিল একজন সংসদ সদস্যের নির্দেশে। এই কষ্ট উনি জেনে গিয়েছিলেন। এই কষ্টটা উনি বুকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আজ দুঃখ ভরা কন্ঠ নিয়ে বলতে হয় জেলা আওয়ামীলীগে যখন তাকে সহ সভাপতি দেওয়া হল, যখন কমিটি পাশ হয়ে গেল তখন আমাদের রহমত উল্লাহ ভাই আর নেই। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুক। তিনি এই দলের জন্য, আমাদের জন্য, দেশের জন্য অনেক কিছু দিয়ে গেছেন।
বুধবার (২৪ অক্টোবর) সাবেক জাতীয় হকি তারকা ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি খাজা রহমত উল্লাহ এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রয়াত নেতা খাজা রহমত উল্লাহ বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আলহাজ্ব খাজা রহমত উল্লাহ ভাই থেকে আহাসান উল্লাহ ভাইয়ের সাথে আমার বেশি ভাল সম্পর্ক ছিল। জেল খাটা, অত্যাচারিত হওয়া, সৎ চরিত্রবান খেলোয়ার, ছাত্রলীগের ছাত্র সংগঠক এমন তার অনেক কথাই শুনলাম সবার কাছে। ওনার তুলনা ওনি নিজেই। শুধু বলব আমাদের এলাকায় যতটা না জনপ্রিয় ছিল তার চেয়ে তিনি ঢাকায় বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। তার অনেক বন্ধুবান্ধব। তারা সকলেই স্ব স্ব স্থানে তাদের নিজস্বতা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। খাজা রহমতউল্লাহ সেই অবস্থানেই ছিলেন। সত্যি একটা কথা হল তিনি একজন নিবেদিত প্রাণকর্মী ছিলেন। সত্যিকারের আওয়ামীলীগের প্রাণকর্মী ছিলেন। ওনার কথা বললে কিছু সময়ে বলে শেষ করা যাবে না। সময়ের অভাবে অনেক কিছুই বরলতে পারি নাই।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া, সহ সভাপতি আদিনাথ বসু, জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহাম্মদ রেজা উজ্জল, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনা, জেলা ন্যাপের সহ সভাপতি আওলাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম প্রমুখ৷