আজ শনিবার, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মর্গ্যান স্কুলের দ্বিতল ভবন ভেঙে দিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ॥ ছাত্রীদের বিক্ষোভ

মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
একশ’ আট বছরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দোতলা ভবন ভেঙে ফেলেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এই ঘটনার পর শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রীরা। মিছিল নিয়ে ছাত্রীরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
রোববার (২০ মে) সকালে স্কুল কর্তৃপক্ষ ভবনটি পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন, অসৎ উদ্দেশ্যে ছিল বলেই ভবনটি ভেঙে ফেলেছেন নাসিক কর্মকর্তারা।

 

মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

 

এর আগে, শনিবার (১৯ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের পূর্বদিকে প্রায় শতাধিক বছরের পুরনো একটি দোতলা ভবন নাসিকের ভেকু দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, শতাধিক বছরের পুরনো এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল শ্রেণিকক্ষ, যেখানে পাঠদান দেওয়া হতো এবং নিচতলার একপাশে ছিল স্টোর রুম ও আরেক পাশে ছিল স্কুলের সব শিক্ষার্থীদের জন্য রান্না ঘর। রোজার মাস উপলক্ষে স্কুলটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য আহসান হাবিব অভিযোগ করেন, স্কুলটি বন্ধ থাকায় অসৎ উদ্দেশ্যেই এ ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। বর্তমান নাসিক মেয়রের বাবার নামে নির্মিত আলী আহমেদ চুনকা পাঠাগারটির জন্যই দেড়শ বছরের পুরাতন এ ভবন ভেঙে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, আমরা মেয়রের সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেছিলাম যেন ভবনটি ভাঙা না হয়, কারণ তার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় এই ভবনটি নির্মিত হয়েছিল। এতোদিন কোনো সমস্যা হলো না হঠাৎ কি সমস্যা হলো যে স্কুল ভবন ভাঙতে হবে? এ ধরনের কাজ আসলেই নিন্দনীয়, আমরা শিক্ষক, গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।
নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী জানান, স্কুলের দুই শতাংশ জমি নাসিকের। আরএস, সিএসসহ সব কাগজপত্র রয়েছে। নাসিক তার প্রয়োজনে জায়গাটি চাইতেই পারে। তা ছাড়া জমিটির ব্যাপারে বার বার স্কুলকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা চিঠি পাওয়ার পর নাসিক মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমাদের প্রতিনিধি দল গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে এসেছে এবং তাকে অনুরোধও করেছেন যেন দেড়শ বছরের পুরনো ভবনটিকে আইনগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। যেহেতু ভবনটি অনেক দিনের পুরনো তাই এটি রাখার জন্য মেয়রের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে এটি ভাঙা সমীচীন হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।