আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মন্ত্রীর দাবিতে বস্ত্র ও পাট খাতে বাজেট বৃদ্ধি

নবকুমার:
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ও ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছে  অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল । পাটের হারানো গৌরব ফেরাতে নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বস্ত্র ও পাট খাতে বাজেট বৃদ্ধির দাবি করেছে ছিলেন। গোলাম দস্তগীর গাজীর দাবির প্রেক্ষিতে গতকাল ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জন্য ৮শ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত অর্থবছরের বাজেটে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৭৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বাজেটের তুলনায় এ বাজেটে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে ৬২ কোটি টাকা।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক রফতানিতে পৃথিবীতে আমরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছি। বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রেক্ষাপটে এ খাতটিও একটি বিকাশমান ও সম্ভাবনাময় খাত। এ বিবেচনায় আমাদের সরকার এই খাতটির জন্য বিদ্যমান নগদ প্রণোদনাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক রফতানির চারটি খাতে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। তৈরি পোশাক রফতানি বাড়ানোর লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে অবশিষ্ট সব খাতে তৈরি পোশাক রফতানিতে ১ শতাংশ হারে রফতানি প্রণোদনার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এর জন্য বাজেটে অতিরিক্ত ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ৩৫ ধরনের পণ্য রফতানির বিপরীতে রফতানি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে রফতানি প্রণোদনার পরিমাণ ছিল ১৫শ কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৮১ কোটি টাকায়।

বাজেট বৃদ্ধির ব্যাপারে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, সারা বিশ্বে পাটের চাহিদা বাড়ছে। আমাদের পাটেরও খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে । পাট খাতের যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে নিরসন করা হবে।