আজ বৃহস্পতিবার, ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মধ্য রাতে আজমেরীর ফ্ল্যাটে পুলিশের হানা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে আজমেরী ওসমানের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় ১৪ থেকে ১৫টি পুলিশের গাড়ি পুরো এলাকা ঘেরাও করে। আমলাপাড়ার এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ পেয়ে এ অভিযান চালানো হয় বলে পুলিশের সূত্র জানিয়েছে। অভিযানে ২ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও আজমেরী ওসমান কে ধরতে পারেনি পুলিশ। উল্লেখ্য, এর আগে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আজমেরীর আগের অফিসে র‌্যাব হানা দিয়েছিলো।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, আমলাপাড়া নিবাসী জনৈক বাচ্চু কে দলবল নিয়ে মারধর করে আজমেরী ওসমান। এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে ৩ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এশাধিক টিম রাত সোয়া ১২টার দিকে অভিযান চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকারী তোলারাম কলেজের সামনের আল্লামা ইকবাল সড়কে ১৪ থেকে ১৫ টি গাড়ি ঢুকে। এক পর্যায়ে তারা ওই ভবনে যায় যে ভবনে আজমেরী ওসমানের ফ্ল্যাট রয়েছে। এ সময় অন্যন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারের সাথে পুলিশের কিছুটা বাদানুবাদ হয়। একজনের জন্য গোটা ভবনের মানুষ কে কেন কষ্ট দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন ছুড়ে কয়েকজন নারী। এক পর্যায়ে পুলিশ আজমেরীর অফিস তল্লাশি চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো সোনারগাঁয়ের নাজিরপুরের গোলজার হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমান (৩৫), ও ফতুল্লার ইসদাইরের মো. ফকির চানের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন রুকু (৩২)। এর আগে ২০১৩ সালের ৭ আগস্ট ত্বকী হত্যা মামলা তদন্তের অংশ হিসেবে র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা আল্লামা ইকবাল সড়কে আজমেরী ওসমানের একটি টর্চার সেলে অভিযান চালিয়ে রক্তাক্ত জিনসের প্যান্ট, রক্তমাখা গজারির দুটি লাঠি ও বস্তা ভর্তি নাইলনের রশি জব্দ করেছিলেন। ত্বকী হত্যা মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১১-এর তৎকালিন সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল হক অভিযান প্রসঙ্গে তখন বলেছিলেন ‘আজমেরী ওসমানকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা খুঁজছি। যদিও তখন আজমেরী ওসমান ও তার লোকজন বলেছিলেন, ওই অফিসটি তাদের ব্যবসায়িক কার্যালয়। তবে র‌্যাবের অভিযানের পর আর ওই অফিস ব্যবহার করেননি আজমেরী ওসমান।
এরপর বেনামে এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন আজমেরী ওসমান। পরে অভিযোগ উঠে, তিনি ফ্ল্যাটটি দখলে রেখেছেন। তবে সম্প্রতি ফ্ল্যাট মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ ্ওই ফ্ল্যাটটি উদ্ধারে তৎপরতা চালালে পরে আজমেরী ওসমাানের মা পারভীন ওসমান পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। এক পর্যায়ে ফ্ল্যাট মালিকের কাছ থেকে নগদ টাকায় ফ্ল্যাটটি কিনে নেন পারভীন ওসমান।