সংবাদচর্চা রিপোর্ট
যেকোন কমিটির অভিভাবক বলতে সাধারণত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককেই বোঝায়। কমিটি পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ওই অভিভাবকরাই সকল নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র কমিটি গঠন করা হয় ২০১৭ সালে। সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৩ সদস্যের একটি আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখানো পর্যন্ত দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে রাজপথে মহানগর বিএনপির দায়িত্বে থাকা অভিভাবকদের জোড়ালো তেমন কোন ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। জোড়ালো ভূমিকা তো দূরে থাক আবুল কালামকে ঘর থেকে বের হতে তেমন একটা দেখা যায়না অন্যদিকে এটিএম কামাল কিছুদিন পরপর ভ্রমণে থাকেন ব্যস্ত। এমনটাই মনে করেন বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। অভিভাবকদের এসকল কর্মকান্ডে তারা হতাশও বটে ।
ক্রমসই রাজপথ থেকে হারিয়ে যাওয়া মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালামকে এখন আর রাজপথে দেখা যায় না। অন্যদিকে এটিএম কামাল ব্যক্তিগত কারণে কিছুদিন পরপরই বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন। কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অবহেলাতেই নাজেহাল অবস্থা মহানগর বিএনপি’র। আর সে কারণেই রাজপথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে বাকি সদস্যরা।
বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, একটি কমিটির অভিভাবকদের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ওই কমিটির বাকী সদস্যদের কি অবস্থা হতে পারে? এটিএম কামাল ব্যক্তিগত কারণে কিছু দিন পরপরই বিদেশে ভ্রমণ করেন। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একজন সিনিয়ন নেতা হিসেবে দলের প্রতি আবুল কালামের গুরুত্ব তেমন একটা লক্ষ্য করা যায় না। এসকল বিষয়গুলো নারায়ণগঞ্জ বিএনপির জন্য অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক। এছাড়াও এখানো পর্যন্ত জেলার কোন জায়গাতে মহানগর বিএনপি’র অফিস তৈরী করা হয় নি। নিজেদের ব্যক্তিগত চেম্বারেই সীমাবদ্ধ মহানগর বিএনপি’র বর্তমান রাজনীতি। সকল
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দায়িত্বে থাকা অভিভাবকদের গাফলতির বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কমিটির সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই।
ফোন ধরেননি কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু। অন্যদিকে বিদেশে থাকায় যোগাযোগ করা হয়নি এটিএম কামালের সাথে আর আবুল কালামের ফোন নাম্বার ছিলো বন্ধ।