ভোলায় মাছ ধারা উপর নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে জেলেরা
ভোলা প্রতিনিধি:
মাছের অভয়াশ্রম ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে নৌ-পথে জাল ফেলে দুই মাসের জন্য মাছ শিকার ও বিক্রি বন্ধ ঘোষনা করেছে মৎস্য বিভাগ।
মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পরেছে ভোলার লক্ষাধিক জেলে। বিকল্প কোন কর্মসংস্থান না থাকায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে জেলেরা। পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে বসবাস করবে তা নিয়ে পরছে চরম বিপাকে।
ভোলা জেলায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার ২৬০ জন নিবন্ধিত জেলে থাকা সত্তেও সরকার থেকে বরাদ্ধকৃত চাউল আসছে মাত্র ৫১ হাজার ২৫০জন জেলে পরিবারের জন্য। এমনকি জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাউল তাদের ভাগ্যে জোটবে কিনা তা নিয়ে জেলেরা আছে চিন্তায়। মাছধরা বন্ধ থাকায় জেলেদের পরিবারে নেমে এসছে চরম দূর্ভোগ। কিভাবে পরিবার পরিজনের মুখে অন্য জোগাবে সে চিন্তায় দিশেহার হয়ে আছে জেলেরা।
এদিকে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে ঋন নিয়ে বিপাকে আছে জেলেরা। কিভাবে পরিষোদ করবে ঋনের টাকা, কিভাবে চালাবে পরিবারের খরচ ও ছেলে মেয়ের লেখা পড়া। সব দিক মিলিয়ে জেলারা চরম বিপাকে পরে আছে।
জেলেদের একটাই দাবী, সরকারী নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে আমরা মাছ ধরা বন্ধ রেখেছি। কিন্তু সরকারি সহায়তার চাউল যেন দ্রুত আমাদের কাছে আছে সরকার যেন সেই ব্যবস্থা করে। পরিবার পরিজন নিয়ে দুই মুঠো খেয়ে জেন বাচঁতে পাড়ি। এছারা যারা এনজিওর কাছ থেকে ঋন নিয়েছে তাদের কিস্তির টাকা যাতে দুই মাসের জন্য বন্ধ রাখে তার দাবিও জানান অনেক জেলে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, আগামী ২ মাস যাতে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে না পারে সে বিষয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং জেলেদের জন্য সরকার থেকে বরাদ্ধকৃত চাউল বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে পৌছানো হয়েছে। কয়েক দিনের ভিতরে সেই চাউল জেলেদের মাঝে বিতরন করা হবে।