সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভূলতা ও গোলাকান্দাইল দুই পাশেই রাত হলেই ছিনতাইকারী ও পুলিশের চাঁদাবাজি চলে । দিনে মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকলেও রাতে ভূলতা ও গোলাকান্দাইল মহাসড়কের চিত্র পাল্টে যায়। রাত হলেই ভূলতা ও গোলাকান্দাইল স্ট্যান্ড চলে যায় ছিনতাইকারী ও পুলিশের দখলে।
তাই রাতেই অনিরাপত্তার কারণে আসা-যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন রাত হলেই দেখা যায় আর আর এফ পুলিশের চাঁদাবাজি। শুক্রবার (২৬এপ্রিল ) রাতে সরেজমিনে ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। রাতের আধাঁর নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় এক অন্য রকম চিত্র। এই যেন নগর জীবনের এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। সম্মান হারানো আর ছিনতাইকারীদের হাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার ভয়। এছাড়াও অন্যদিকে দেখা যায়, পুলিশ ছিনতাইকারীদের আটক না করে মেতে উঠে চাঁদাবাজিতে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা এলাকায় আর.আর.এফ. পুলিশের এ.এস.আই জহিরের নেতৃত্বে কনস্টেবলরা চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে। কনস্টেবলরা হলেন, বোরহান,শরিফ,আরিফ,জাহিদ,জাকির ও মুরসালিনসহ আরোও অনেকে চাঁদাবাজিতে মেতে উঠছে। এছাড়াও আরো দেখা যায়, গোলাকান্দাইল চৌরাস্তার দুই পাশেই কিছু বখাটের আড্ডা।
এসব কারণেই রাতে গাড়ি থেকে নামা এই স্ট্যান্ডে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্ট্যান্ডে অবস্থানরত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ আসে, আর এসেই ছিনতাইকারীদের ফাঁদে পড়ে। এ ব্যাপারে ভূলতা আর.আর.এফ পুলিশের ইনচার্জ টি.এস.আই.সাঈদ জানান, ছিনতাইকারী তাড়ানোর এবং ধরার দায়িত্ব আমার না। আমার পুলিশ চাঁদাবাজি করেন আমি স্বীকার করছি তবে তারা আমার কথা শোনেন না ।