নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লার ভুইগড় রূপায়ন টাউন আবাসিক এলাকা থেকে রেবেকা নির্মানী চন্দ্র ছাপা বানদারা (২৭) নামে এক শ্রীলঙ্কান নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৯ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকেলে রূপায়ন টাউনের ১১ নম্বর ভবনের ৩য় তলার উত্তর পাশে থাকা এ-৩ কক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কান এই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, প্রেমজনীত ঘটনায় আত্মহত্যা এটি।
এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসলাম হোসেন জানান, প্রেমজনীত কোন ঘটনা সম্পৃক্ত ছিল রেবেকার আত্মহত্যার সাথে। তার মোবাইল থেকে আমরা বিভিন্ন বার্তা পেয়েছি। সেখানে দেখা গেছে, ২ জন ছেলের সাথে সর্ম্পক ছিল তার। একজন ঢাকা ও আরেকজন বিদেশী নাগরিক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
শ্রীলঙ্কার এই নারী সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের কুংটুং নামে একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের বায়িং হাউজে মার্চেন্ডাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রায় ৪ বছর ধরে ফুপুর সাথে এই ফ্লাটে থাকতেন ওই নারী। কয়েকদিন আগে ফুপু শ্রীলঙ্কায় গেছে।
পাশের ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী নাসিমা বেগম বলেন, ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখে আশপাশের লোজনকে খরব দেন তিনি। এই ভবনটি বিশেষ নিরাপত্তা আওতায় অন্তর্ভুক্ত। সকালে বাহিরেও গিয়েছিল রেবেকা। তার গৃহকর্মী রুজি রান্না করার জন্য গিয়ে দেখে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। সে দরজা খোলার জন্যচেষ্টা করে ।
৯ নম্বর ভবনের বাসিন্দা আইনজীবী মো. শাহিন বলেন, ১১ নম্বর ভবনটি কংটং কোম্পানির। তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই ভবনে ঘটনাটি ঘটলো কেউ শব্দও পেলো না! এ ধরনের ঘটনায় দেশের প্রতি বিদেশীদের আস্থা কমে যায়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার জানান, পুলিশ ২শ’ ডলার, ২১০ ইন্ডিয়ান রুপি, ২৪৬০ টাকা, ৫ টি সোনার আংটি, ১ রকেট, ৪ টি কানের রিং ও স্ট্যান্ডার্র্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বই জব্দ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান জানান রূপায়ন টাউনের ১১ নম্বর ভবনের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন ওই নারী। ওই ফ্ল্যাটের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখোনা কাউকে আটক করেনি করা হয়নি। মৃতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।