নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতালের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও কাঁচপুরে তাণ্ডবকারিদের প্রায় দুই শতাধিক ছবি ও ভিডি এখন নারায়ণগগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে উগ্রতা ও গুজব ছড়ানো পোস্ট দেখে চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এমন দুইজনকে চিহ্নিত করে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার রাতে নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, শনিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাং রোড এলাকা থেকে হেফাজত কর্মী মো: রাশেদুজ্জামান ওরফে মুন্নাকে (২২) আটক করা হয়। মুন্না খুলনার পাইকগাছার রফিকুল ইসলামের ছেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় গত ২৮ মার্চ হেফজতে ইসলামের হরতালের সহিংসতায় অংশ গ্রহণকারীদের বিভিন্ন ছবি প্রকাশিত হলে ওই ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া একই দিনে রূপগঞ্জ থেকে উপজেলা মসজিদ সংলগ্ন পাশ্ববর্তী মহল্লার মসজিদ থেকে মুফতী লোকমান হোসাইন আমিনীকে আটক করা হয়েছে। তিনি তার নিজ ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন- “মামুনুল হককে আটক করা হচ্ছে ঢাকায়। এই মুহূর্তে বেশী বেশী লোক সমাগম হওয়া প্রয়োজন” । এ গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে।
এসপি আরো বলেন, আমরা হরতালের দিন তাণ্ডবকারিদের ভিডিও, ছবি, ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে দেখে আটক করছি। আমরা চেষ্টা করছি হেফাজতের মধ্যে থেকে কারা মূলত তাণ্ডব চালিয়ে জানমালের ক্ষতি করেছে। আমরা প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হরতালের তাণ্ডবের বহু ভিডি ও ছবি ইতমধ্যে আমাদের হস্তগত হয়েছে। অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না।