আজ মঙ্গলবার, ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইতিহাসের এইদিনে (বিশ্ব মান দিবস)

ইতিহাসের

ইতিহাসের

সংবাদচর্চা ডেস্ক:
এ দিবসটির মূল থিম হচ্ছে পণ্যের মান সংরক্ষণ। প্রতিবছর ১৪ অক্টোবর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক মান সংস্থা আইএসও-এর আহবানে বিশ্ব মান দিবস পালিত হয়। কিন্তু এর মর্মার্থ এখন পর্যন্ত কার্যকর করা যাচ্ছে না ।
বিশ্ব বাণিজ্যের জন্যে প্রয়োজন পণ্যের বিশ্ব মান। আন্তর্জাতিক মানের মাধ্যমে পরিচালিত বিশ্ব বাণিজ্যে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়ই সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। বিশ্ব মানসম্পন্ন পণ্যের মাধ্যমে দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব বাজার পৃথিবীর সকল দেশকে একটি অবিচ্ছেদ্য মানবগোষ্ঠীতে পরিণত করতে পারে। জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ ভুলিয়ে বিশ্ব মান ডাক দেয় বিশ্ব শান্তি ও বিশ্বভ্রাতৃত্বের। এ অবস্থায় কোন দেশের যা ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়না। বিশ্ব মান দিবস বিশ্ববাসীকে একই বিশ্ব মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার আহবানজানায় ।
পণ্যের গুণগত মান নির্ধারণ ও মানসম্পন্ন পণ্য যাতে বাজারজাত করা হয় সেই বিষয়টি তদারকি করে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (আইএসও)। এটি বিশ্বব্যাপী জাতীয় ও সরকারি সংস্থার একটি কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পারস্পরিক সমঝোতা, স্বীকৃতি এবং সরকার, কোম্পানী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য নিরসনের মাধ্যমে একটি একক ও সমমানের পদ্ধতি প্রবর্তনই আইএসও এর কাজ। জেনেভা ভিত্তিক আইএসও এর সদস্য সংখ্যা ১২০। প্রতিটি দেশেই আন্তর্জাতিক পণ্য ও সেবা বিনিময় এবং সর্বক্ষেত্রে মেধা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক কর্মকা-কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে বিশ্ব মান ও সংশ্লিষ্ট ভূমিকা উন্নয়নে আইএসও কাজ করছে। ব্যাপক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের গুণ, নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা যে বিশ্ব মান ও সেবা নিশ্চিত করে তাতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হতে পারে। বিশ্ব মানের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)সমর্থিত বাণিজ্যে কারিগরি বাধা (টিবিটি)চুক্তি অনুযায়ী বিশ্ব বাণিজ্যে ও বাজারে কারিগরি ভিত্তি রচনা করা। বিশ্ব বাণিজ্যে পণ্য প্রবাহে অযথা বাধা কাটিয়ে ওঠার জন্য বিশ্ব মান অনুসরণে এ চুক্তিতে সরকারগুলোকে আহবান জানানো হয়েছে। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে গৃহীত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার  ৪০টি দেশ স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির নতুন সংস্করণ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১৩০টি সদস্যের ওপরই প্রয়োগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গ্যাট চুক্তি স্বাক্ষরের পর মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু হয়েছে। এ বাজারে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো ইচ্ছেমতো অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। কিন্তু বাজার মুক্ত হওয়ার প্রতিযোগিতা হয়েছে কঠিন। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই।
আ ইএসও পণ্যের আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ ও মান নির্ধারণের লক্ষ্যে ১৪০০০ এর অধিক সিরিজ প্রবর্তন করেছে। আইএসও এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এই মর্মে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে আইএসও সার্টিফিকেট ছাড়া এসব দেশের পণ্য আমদানি অথবা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা। বাংলাদেশে বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন)
আইএসও এর সদস্য হিসেবে জাতীয় ক্ষেত্রে পণ্যের আন্তর্জাতিক মানের নিশ্চয়তা বজায় রাখার
জন্য কাজ করে। পণ্যের গুণাগুণের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য এবং ক্রেতার অধিকার সংরক্ষণে বিএসটিআই সরকারের পক্ষে সার্টিফিকেট ইস্যু করে। আইনগত কঠোরতা না থাকায় এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রাতিষ্ঠানিক বিস্তৃতি না থাকায় আশাব্যঞ্জক ফল আসছে না। এক বাজার জরিপে দেখা গেছে, দেশের শতকরা ৫২ ভাগ পণ্যেরই বিএসটিআই’র অনুমোদন নেই। এছাড়া মান সমস্যার পাশাপাশি ঠকানো হচ্ছে ওজনেও ।

১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে অর্থাৎ এখন থেকে ৬৪ বছর আগে জার্মানীর নাৎসি বাহিনীর বিখ্যাত সেনাকমান্ডার এরউইন রোমেল হিটলারের আদেশে আত্মহত্যা করে। মার্শাল রোমেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে উত্তর আফ্রিকায় জার্মান বাহিনীর কমান্ডার ছিল এবং ব্রিটিশ সেনাদেরকে মিশরের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছিল। এ বিজয়ের কারণে রোমেলকে ফিল্ড-মার্শাল উপাধিও দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর উত্তর আফ্রিকায় জার্মান বাহিনীর কাছে পর্যাপ্ত যুদ্ধ-সরঞ্জাম না পৌঁছানোর কারণে ব্রিটিশ বাহিনীর উপর্যুপরি হামলা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে রোমেলের বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। ফিল্ড-মার্শাল রোমেল ১৯৪৪ সালে ইতালী এবং বলকানে জার্মানীর প্রতিরক্ষা কমান্ডার ছিলেন। কিন্তু হিটলারের সাথে যুদ্ধ-কৌশলের ব্যাপারে রোমেলের মতপার্থক্য ছিল। সে কারণেই হয়তো হিটলার হত্যাপ্রচেষ্টার ব্যর্থতার পর জার্মানীর ডিক্টেটর রোমেলকে সন্দেহ করে। রোমেলের বিরুদ্ধে হিটলার হত্যাপ্রচেষ্টার ষড়যন্ত্রের সাথে হাত থাকার অভিযোগ আনা হয় এবং শেষ পর্যন্ত হিটলারের আদেশে মার্শাল রোমেল আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।

১৯৫৩ সালের ১৪ অক্টোবরে জর্দান নদীর পশ্চিম উপকূলীয় কাবিহ গ্রামে সশস্ত্র ইহুদিবাদীরা নির্যাতনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এই গ্রামে ইহুদিবাদীরা টানা দুইদিন আগ্রাসী হামলার মাধ্যমে নিরীহ ফিলিস্তিনীদের ওপর নির্বিচার গণহত্যা চালায় এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে। ইসরাইলী সাবেক প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন ছিল তখনকার সেনা কমান্ডার। তার নেতৃত্বে ইসরাইলী সেনারা তখন মহিলা ও শিশুসহ ৪২ জন নিরীহ ফিলিস্তিনীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে,অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে দেয় এবং একটি মাদ্রাসা বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়। এই গণহত্যা ইসরাইলের বিশেষ করে ইহুদিবাদী ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের আরেকটি দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত।

১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব নিকিতা ক্রুশচেভ বহিঞ্চ®কৃত হন। ক্রুশ্চেভ ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির রাজনৈতিক দফতরের সদস্য হন। ১৯৫৩ সালে স্টালিনের মৃত্যুর পর তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের সবচে ক্ষমতাবান ব্যক্তিতে পরিনত হন এবং কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব পদ লাভ করেন। তার কিছুকাল পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ক্রুশ্চেভ তার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময় সোভিয়েত রাষ্ট্রব্যবস্থার অর্থনীতি এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টির রক্ষণশীল বহু নেতা তাঁর এই পরিবর্তনকামী পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। যার ফলে ১৯৬৪ সালের এই দিনে ছুটিতে থাকা অবস্থায় তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পদ ও প্রধানমন্ত্রীত্বের পদমর্যাদা থেকে বহিঞ্চকৃত হন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে নিকিতা ক্রুশ্চেভ মারা যান।

ফার্সি ১৩৬১ সালের ২৩ শে মেহের মোতাবেক ১৪ই অক্টোবরে আয়াতুল্লাহ আতাউল্লাহ আশরাফি ইস্ফাহানী শহীদ হন। তিনি ছিলেন ইমাম খোমেনী ( রহ ) এর প্রতিনিধি এবং ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কেরমানশাহ’র জুমার ইমাম। আয়াতুল্লাহ আতাউল্লাহ আশরাফি ইস্ফাহানী মেহরাবে নামাযরত অবস্থায় সন্ত্রাসী মোনাফেকীন গোষ্ঠির হামলায় শাহাদাতবরণ করেন। ইসলামী বিপ্লবের গঠন ও বিকাশ প্রক্রিয়ায় কেরমানশাহ’র জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে তিনি যথার্থ নেতৃত্ব দেন এবং শাহের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত হবার জন্যে জনগণকে অনুপ্রাণিত করেন। এই বিপ্লবী ভূমিকার কারণে তিনি বহুবার গ্রেফতার হন এবং জেল খাটেন। ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর ইমাম খোমেনী ( রহ ) এর আদেশে এই স্বনামধন্য আলেমে দ্বীন কেরমানশাহ’র জুমার ইমাম নিযুক্ত হন। অবশেষে ১৪ ই অক্টোবর তারিখে জুমা নামাযের সময় ইসলামের শত্র”দের হাতে ইবাদাতের মেহরাবেই তিনি শহীদ হন।

১৯৯৯ সালের ১৪ অক্টোবরে মারা যান।১৯২২ সালের ১৩ এপ্রিলে তিনি বুতিয়ামায় জন্মগ্রহণ করেন। নাইরের ১৯৫৫ সালে রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন তাঙ্গানিকা আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন পার্টি বা ( ঞঅঘট ) তাঙ্গানিকায় ক্ষমতাসীন হয়। তাঙ্গানিকা বর্তমান তানযানিয়ার একটি অংশ ছিল। নাইরের ১৯৬১ সালে প্রধানমন্ত্রী হন এবং তার এক বছর পর তাঙ্গানিকার প্রেসিডেন্ট পদ লাভ করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় তাঙ্গানিকা এবং যানযিবার ১৯৬৪ সালে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং এর ফলেই বর্তমান তানযানিয়া প্রজাতন্ত্রের গোড়াপত্তন ঘটে। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নাইরের ছিলেন তানযানিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তানযানিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি ব্যাপক অবদান রাখেন।

৮৫৬ বছর আগের এইদিনে বিখ্যাত মুহাদ্দিস,মুফাসসির,মুতাকাল্লেম এবং ফকীহ কুতুবুদ্দিন রাভান্দি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ইসলামের বিভিন্ন শাখায় বহু বই লিখে গেছেন। তাফসীরে কোরআন,রেসালাতুল ফোকাহা,আয়াতুল আহকাম এবং আসবাবুন নুযুল তাঁর উল্লেখযোগ্য কটি গ্রন্থ।

 

 

ইংল্যান্ডের রাজা হ্যারন্ড যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত (১০৬৬)
সিন্দুর অমরকোটে মোগল স¤্রাট আকবরের জন্ম (১৫৪২)
ফ্রান্স ও রাশিয়ার মধ্যে ইয়েনার যুদ্ধ সংঘটিত (১৮০৬)
ক্যালিফোর্নিয়ার প্রথম সুপারসনিক বিমানের উড্ডয়ন (১৯৪৭)
ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে মওলানা ভাসানী গ্রেফতার (১৯৪৯)
বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নিষিদ্ধ ঘোষণা (১৯৭৭)
আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহার শুরু (১৯৮৬)
হাইতির বিরুদ্ধে পুনর্বার যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ (১৯৯৩)