বিশ্বে বসবাসের উপযোগী সবচেয়ে নিরাপদ ৬০টি শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। তালিকায় ঢাকা শহরের অবস্থান ৫৬তম। তালিকায় গতবারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, অবকাঠামো নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা—এই চার ক্যাটাগরিতে ৫৭টি অনুসূচকের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে দ্য ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৬০টি বড় শহরকে নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী, সার্বিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ পাঁচ শহর হলো যথাক্রমে জাপানের রাজধানী টোকিও, সিঙ্গাপুর, জাপানের বন্দরনগরী ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র ওসাকা, নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডাম এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনি।
সার্বিকভাবে সবচেয়ে কম নিরাপদ পাঁচ শহর হলো যথাক্রমে পাকিস্তানের করাচি, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস ও নাইজেরিয়ার সবচেয়ে বড় শহর লাগোস।
এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা ক্যাটাগরিতে ঢাকার অবস্থান ৬০ শহরের মধ্যে ৫৭তম। অর্থাৎ এই শহর এই ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে কম নিরাপদ শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। স্বাস্থ্য নিরাপত্তায়ও ঢাকা ৫৭তম অবস্থানে রয়েছে। চার ক্যাটাগরির মধ্যে অবকাঠামো নিরাপত্তায় ঢাকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এই ক্যাটাগরিতে ঢাকার অবস্থান ৫৯তম। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ক্যাটাগরিতে ঢাকার অবস্থান ৫৫তম।
সূচকের সঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে বর্তমানে মোট জনগোষ্ঠীর ৫৬ শতাংশের বেশি শহরাঞ্চলে বসবাস করছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এই হার বেড়ে ৬৮ শতাংশে দাঁড়াবে। অর্থাৎ ধারণার চেয়েও বেশি গতিতে নগরায়ণ হচ্ছে বিশ্বে। এই নগরায়ণের হার সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান উন্নয়নশীল দেশগুলোয়। তবে নগরায়ণের চ্যালেঞ্জগুলো যদি মোকাবিলা না করা হয়, তাহলে অর্থনৈতিকসহ নানা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।