নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাকা দিয়ে টাকার খেলা। এ খেলাকে পরিচালনা করে প্রভাবশালী থেকে শুর করে সাংবাদিকও। তবে এ সাংবাদিকের সাথে দেশের দায়িত্বশীল সাংবাদিকের চিত্র পুরো পুড়ি ভিন্ন। একজন পেশারদার সাংবাদিকের দায়িত্ব গণমানুষের দাবীগুলোকে যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করা। রাষ্ট্রের যে সকল সিস্টেমে অসচ্ছতা রয়েছে সেই সংক্রান্তে স্বচ্ছ প্রতিবেদন করা।
অপরাধের বিরুদ্ধে কলম হাতে তুলে নিয়ে সেই সকল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। তবে নারায়ণগঞ্জের ক্ষেত্রে একটি ভিন্ন চিত্র উপস্থাপন করেছে পুলিশ। পুলিশের সূত্র মতে’ একজন সাংবাদিক জুয়ার আসর পরিচালনা করে। নগরবাসীর প্রশ্ন হচ্ছে সাংবাদিকের দায়িত্ব কি সংবাদ করা নাকি জুয়ার আসর পরিচালনা করা?
নগরীতে জুয়ার আসর চালাতেন একজন সাংবাদিক! পুলিশের হাতে এসেছে এমন এমন তথ্য প্রমাণ। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটিই জানিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।
জানা গেছে শহরের জুয়ার আসরের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন সাংবাদিক। পুলিশ সুপার বলছেন, সাংবাদিক চালাতেন সে আসর।
গতবুধবার গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে শহরে পুলিশের মহড়া সম্পর্কে জানাতে গিয়ে ওই কথা জানান তিনি। হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘যারাই অপরাধ করবেন, তেল চুরি, জুয়ার আসর, মাদকে জড়িত থাকবে তিনি যত বড় প্রভাবশালীই হোক কোনো ছাড় দেব না।’
এমন আলোচনায় অনেকেই মনে করছেন বর্তমান পুলিশ সুপারের কঠোর অবস্থানের কারণে অনেকটা অস্বস্তিত্বে রয়েছেন সাংসদ শামীম ওসমানের অনুসারিরা।
তাই কারো কারো মতে, যে সাংবাদিকের কথা ইংগীত করেছেন এসপি তিনি এই সাংসদ ঘনিষ্ঠই হয়ে থাকতে পারেন বলে গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।