সংবাদচর্চা রিপোর্ট
মেয়র আইভীর ব্যক্তি জনপ্রিয়তা, কেন্দ্রীয় নেতাদের আস্থাসহ নানা কারণে আইভী বিরোধীরা কাতর । উত্তরপাড়ার কতিপয় ‘বিশ^স্ত সদস্য’ একের পর এক প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন।
তাদের মুখ দিয়ে উদ্গীরিত এসব প্রলাপের সারাংশ হলো; আসছে সিটি নির্বাচনে আইভী যাতে নৌকা না পায় সে ব্যবস্থা করা। এমন একটি মনগড়া বায়বীয় উদ্যোগ বাস্তবায়নে গুরু কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে পরিবারের ওইসব বিশ^স্ত সদস্য সিটি এলাকার বিভিন্নস্থানে কর্মীসভার নামে আয়োজিত রঙ্গমঞ্চে আইভীর বিরুদ্ধে শেখানো ডায়লগ বমন করছেন। এর আগের দু’টো নির্বাচনে উক্ত পরিবারের এমনতরো অপকৌশল মাঠে মারা যাওয়ার পরও গুরুর বোধোদয় না হওয়া বিস্ময়কর! রঙ্গমঞ্চে বমিত শেখানো ডায়লগের অন্যতম হলো, আইভী সিটির কোন উন্নয়ন না করে বরাদ্দকৃত টাকা মেরে নিজের আখের গোছিয়েছেন। সিটিবাসী এবার মেয়রের চেয়ারে নতুন মুখ দেখতে চান। বিগত ১৫ বছর ধরে ওই চেয়ারে আসীন আইভীর কদাকার কালোমুখ দেখতে দেখতে সিটিবাসীর নাকি ঘেন্না ধরে গেছে!
আসলেই কি তাই! সিটিবাসী সবার চোখেই কি ছানি পড়ে গেছে, যে তারা সিটির কোন উন্নয়নই দেখতে পান না! শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব আর পশ্চিম পারে গত ১৫ বছরে আইভীর বলিষ্ঠ আর সাহসী নেতৃত্বে উন্নয়নের যে ছোঁয়া লেগেছে তা এককথায় অদৃশ্যপূর্ব।
এই স্বল্প পরিসরে আইভীর উন্নয়নশীল প্রকল্পগুলোর ব্যাখ্যা দেয়া অসম্ভব। আর সিটিবাসী ঘেন্না তো দূরের কথা, বরং আইভীর মায়াজড়ানো কলোমুখে একজন সত্যিকার প্রতিবাদী সাহসী নারীর অবয়ব দেখে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় আপ্লুত হন। অন্যসব উন্নয়নের কথা বাদ দিলেও অনেকের রক্তচক্ষুকে পদদলিত করে মাদকের শক্তিশালী আখড়া গুঁড়িয়ে শেখ রাসেল পার্ক আর বাবুরাইল খাল পুনরুদ্ধার করে স্রোতস্বিনী জলধারা পুনপ্রবাহের কীর্তিগাথা আইভীকে ইতিহাসের এক অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে।