আজ রবিবার, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিজেএমসিকে একশ কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)-এর নিয়ন্ত্রলাধীন পাটকলসমূহের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া মজুরী ও বেতন-ভাতা পরিশোধের নিমিত্তে ১০০ কোটি (একশত কোটি) টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রাধীন মিলসমূহের শ্রমিক-কর্মচারীদের আগষ্ট,১৯ হতে নভেম্বর,১৯ পর্যন্ত বকেয়া মজুরী ও বেতন-ভাতা পরিশোধের নিমিত্তে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অর্থ বিভাগের ‘অপ্রতাশিত ব্যয়’ খাত হতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)’র অনুকূলে ‘পরিচালনা ঋণ’ খাতে এ ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে অর্থ বিভাগ থেকে বরাদ্দ এই টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিজেএমসিকে বেশ কিছু শর্ত পরিপালন করতে হবে।

শর্তগুলো হল- ছাড়কৃত ১০০ কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) বিজেএমসি’র মিলগুলোর জন্য বর্নিত খাত ছাড়া অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। এ ছাড়া ছাড়কৃত অর্থ সুনির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে মিলভিত্তিক কর্মচারী ও শ্রমিকদের তালিকাসহ বিস্তারিত ব্যয় বিবরণী অর্থ বিভাগে প্রেরণ করতে হবে । এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি বহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
আর্থিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি ও অর্থ বিভাগের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে বর্ণিত শর্তাদি যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। ছাড় করা অর্থ বিজেএমসির অনুকূলে ‘সরকারি ঋণ’ হিসেবে গণ্য হবে, যা আগামী ২০ বছরে (পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ) পাঁচ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের সাথে বিজেএমসির একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
এই ১০০ কোটি টাকা কেবল শ্রমিকদের মজুরী এবং কর্মচারীদের বকেয়া মজুরী ও বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে ।