
নিজস্ব প্রতিবেদক: শুক্রবার দুপুরে তারাব পৌরসভার নুরূল হক মার্কেটের সামনে নিহত সুমনের বাবা ও তার পরিবার এবং এলাকাবাসী হত্যা মামলার প্রধান আসামী আন্ডা রফিকের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেন।
এ সময় নিহতের বাবা মনির হোসেন (মনু মিয়া) সাংবাদিকদের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান- গত ৮ ই ফেব্রুয়ারী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের দিন বিএনপি-জামায়াত,শিবির নাশকতা করতে পারে এমন আশংকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের সিদ্ধান্তক্রমে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কাঞ্চন ব্রীজের পাশের সড়কে অবস্থান করে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভূমিদস্যু রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিকের নির্দেশে তার অস্ত্রধারী ক্যাডার ও তার গানম্যানরা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করে।
এ সময় আমার ছেলে সুমন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বরভাবে আহত হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সে মারা যায়। ছেলের মৃত্যুর শোকে আমি অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশয়ী হয়ে পড়লে ওই দিনই আমার ছেলের শাশুরী কাজল রেখা স্বইচ্ছায় থানায় গিয়ে বাদী হয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভূমিদস্যু রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিককে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। শুরু থেকেই মামলার বাদী কাজল রেখার আচরণে আমার সন্দেহ হয়। তার প্রতি সন্দেহ পোষণ করার কারণ হচ্ছে ,আমার ছেলের সাথে আমার ছেলের স্ত্রী,শাশুরী,শ্যালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিলো না।
আমার ছেলের শাশুরী কাজল রেখা সব সময় ছেলের স্ত্রীকে কু পরামর্শ দিতো । গত সাত বছর আগে আমার ছেলে সুমনকে না বলেই আমার ছেলের স্ত্রী সাত মাসের সন্তানকে ফেলে রেখেই শাশুরীর কাজল রেখার প্রোরচণায় কাতার চলে যায়।
গত ৮ ই ফেব্রুয়ারী অমার ছেলে নিহত হওয়ার পর আমার অসুস্থ্যতার সুযোগে আমার ছেলের শাশুড়ী বাদী হয়ে রুপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করায় তার প্রতি আমার সন্দেহ হয়। কাজল রেখা লোভী প্রকৃতির মানুষ বলেই আমি গত ১০ ফেব্রুয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে মামলার সাথে একাত্বতা পোষণ করি। যার জিডি নং ৪৩৭/১০.০২.২০১৮ ইং ।
আজ থেকে ৭-৮ দিন আগে হঠাত করে কাজল রেখা তার ছেলে ও আমার ছেলের স্ত্রী কাতার থেকে দেশে এসে তিন জন এক সঙ্গে উধাও হয়ে যায় ।পরে আমি জানতে পারি, কাজল রেখা তার ছেলে ও আমার পুত্রবধু আন্ডা রফিকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পেয়ে ও নানা প্রলোভনে আন্ডা রফিকসহ অন্যান্য আসামীদের সাথে মিলে গেছে। বিভিন্ন লোক মাধ্যমে আমাকে ও আমার পরিবারকে অর্থ প্রলোভন দেখায় । এছাড়া এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ছেলের কাছে আমাকে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
পুলিশ প্রশাসন এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে কোন প্রকার জড়িত নয়,কিন্তু বার বার পুলিশ প্রশাসনকে দোষারুপ করে হত্যাকান্ডটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পাওয়ার স্বার্থে নারায়নগঞ্জ আদালতে গিয়ে মামলার বাদী পক্ষ হতে আবেদন করি। মাননীয় আদালত সেই আবেদন গ্রহণও করে।
আর কাজল রেখা স্থানীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতিক) এর বিরুদ্ধে যে সব উল্টাপাল্টা কথা বলেছে , সেগুলো অর্থলোভে আসামীদের সাজানো বুলি তার সকল কথাবার্তা মিথ্যা ও বানোয়াট। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট কথার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসময় আবেগআপ্লুত কণ্ঠে আন্ডা রফিকসহ অন্যান্য আসামীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান নিহতের বাবা মনু মিয়া।

