আজ মঙ্গলবার, ২৩শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিকৃত পুরুষের হয়রানির শিকার নারীরা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেনে চলতে গিয়ে প্রতিদিন হেনস্থার শিকার হচ্ছে নারী যাত্রিরা। ভিড়ের সুযোগ নিয়ে এক ধরনের বিকৃত মনের পুরুষ তাদের যৌন নিগৃহিত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইচ্ছে করে শরীরে ঢাক্কা মারছে, কেউ কেউ স্পর্শকর স্থানে হাত দিচ্ছে। এমন কুৎসিত ব্যবহার সহ্য করেও প্রয়োজনের তাগিতে ট্রেনে চলতে বাধ্য হচ্ছে নারীরা। ভুক্তভোগীরা প্রশ্ন তুলেছে, রেলওয়েরতো পুলিশ রয়েছে। তারা এসব ব্যাপার কেন দেখে না।
গতকাল সকালে কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া রেলস্টেশনে আসার পর এক নারী যাত্রি নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ট্রেনে উঠার সময় অনেক পুরুষ গা ধাক্কা দিয়ে উঠে। চলন্ত ট্রেনে শরীর ঘেঁষে দাড়ায়। কেউ কেউ কুৎসিত নজরে তাকিয়ে থাকে, বিরুপ মন্তব্যও করে। প্রতিদিন এ রকম আচরণ সহ্য করেই ট্রেনে চলতে হচ্ছে। আরেক নারী জানান, ভিড়ের সুযোগে অনেক বিৃকত পুরুষ শরীরের স্পর্শকর স্থানে হাত দেয়। তিনি জানান, বয়স্ক পুরুষরাই এ ধরনের কান্ড বেশী করে। প্রতিবাদ করেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লোকলজ্জার ভয়ে কিছু বলি না।
১৬ কিলোমিটারের ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল পথে প্রতিদিন ১৬ জোড়া ট্রান চলাচল করে। স্বল্প খরচ ও স্বস্তির জন্য ট্রেনে চলাচল বেড়ে গেছে। এতে করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেনে অনেক ভিড় হয়। নারীদের জন্য আলাদা একটি বগি থাকলেও তাতে সবার জায়গা হয় না। এ কারনে পুুরুষদের বগিতে উঠতে বাধ্য হয় নারীরা। আর এই সুযোগই নেয় কিছু বিৃকত পুরুষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্টেশনে নারীরা ট্রেনে উঠার সময় বিভিন্ন ভাবে নিপীড়িত হতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বে থাকা জিআরপি পুলিশকে এ বিষয়ে দেখভালো করে না।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে জিআরপি পুলিশের দায়িত্বে থাকা উপ-পরির্দশক মীর সাব্বির বলেন, জিআরপি পুলিশের জনবল সংকট রয়েছে। তুবও নিয়মিত গেন্ডারিয়া পর্যন্ত তদারকি করে রেলওয়ে পুলিশ সদস্যরা।
রেলওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন মূলত আমাদের জিআরপি পুশিশের জনবল সংকট থাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশন গুলো পুরোপুরি ভাবে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে আরও সজাগ থাকতে নির্দেশ দেয়া হবে।