আজ বুধবার, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গণধর্ষণ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
আড়াইহাজারে বিধবা এক নারীকে গণধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই (১৪) বছর বয়সী মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিতা স্থানীয় দিঘলদী এলাকায় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা পেশায় রিকশা চালক। অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে পুলিশ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে (১৫ অক্টোবর) রাতে একটি মামলা করেছেন। ব্রাহ্মন্দী সরকারি হাসপাতালের পেছনে পুকুরের পাড়ে জঙ্গলে (১২ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা স্থানীয় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী মধ্যপাড়া এলাকার মোতালিবের ছেলে টিউবওয়েল মিস্ত্রী নজরুল ইসলাম(২৫), তার বড় ভাই রিকশা চালক বাদল (৩৭) ও তাদের ফুফাতো ভাই একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে টিউবওয়েল মিস্ত্রী মুছা ( ২৪)। এজাহারে বাদী উল্লেখ্য করেন, নির্যাতিতা ছাত্রী দিঘলদী এলাকায় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। মাদ্রাসার হোস্টেলেই সে থাকতো। হঠ্যাৎ করে হোস্টেলের পানির ট্যাঙ্কে সমস্যা হলে সে (১২ অক্টোবর) গোসল করতে বাড়িতে যায়। পরে আবার মাদ্রাসায় যথা সময়ে ফিরেও যায়। তিনি সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে মেয়ের খোঁজ করলে গেটের দারোয়ান সামুছুন্নাহার জানায়, তার মেয়ে মাদ্রাসায় নেই। বাড়িতে ফিরে তার ব্যবহারের মোবাইলটি পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হয় রিং হলেও কেউ তা রিসিভ করছিল না। পরে তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাাচ্ছিল না। তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন ১৫ অক্টোবর বিকালে স্থানীয় প্রভাকরদী এলাকা থেকে জৈনক মোবারক নামে এক ব্যক্তি ফোন করে মেয়ের অবস্থান জানায়। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রেমিক নজরুল ইসলাম ছদ্ম নাম (সাগর) পরিচয় দিয়ে তাকে এক মাস ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে ফোনে ডেকে নিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে ব্রাহ্মন্দী সরকারী হাসপাতালের পেছনে রবিন্দ্র বাবুর পুকুর পাড়ে তার মেয়েকে প্রথমে নজরুল ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে তার বড় ভাই বাদল ও ফুফাতো ভাই মুছা নজরুলকে সাশিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তার মেয়েকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস একই স্থানে জোরপূর্বক তারা দুজনই পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মামলার বাদী আরও বলেন, সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে আমার মেয়ে বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিল। আমার মেয়ের ওপর নির্যাতনের সঠিক বিচার চাই। এব্যাপারে জানতে আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলামে সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। তার বিরুদ্ধে ফোন রিসিভ না করার বহু অভিযোগ রয়েছে। বিপদে পড়ে বা কোনো দরকারে আড়াইহাজার থানার ওসির মোবাইল নম্বর ফোন করলে প্রায় সময় ওসি ফোন রিসিভ করেন না বলে জানান আড়াইহাজারের একাধিক বাসীন্দা । তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আড়াইহাজার ক্রমেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। বাড়ছে ধর্ষণ, হত্যা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। আড়াইহাজার থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার মায়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আড়াইহাজারের স্থানীয় নৈকাহন এলাকায় (৪০) বছর বয়সী বিধবা এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নির্যাতিতা স্থানীয় ফকিরবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ভাই ভাই ম্পিনিং মিলের শ্রমিক। এ ঘটনায় (১৫ অক্টোবর) নির্যাততা বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ আলী আকবর (৪৫) নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। অপর অভিযুক্তরা হলো- নৈকাহন এলাকার মৃত আ: মালেকের ছেলে মোস্তফা ( ৫৫), মৃত রহমত আলীর ছেলে আনারুল ( ৪০), ডা. হোসেন মিয়ার ছেলে লিটন (৩২) খোকা মিয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার লস্কর আলীর ছেলে শাহীন (৩২)।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ