আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাবা তোমায় ভালোবাসি :নাহার রহমান নুপুর

বাবার মতো নেই কেউ এ ধরায়
সবাই ই সবার মতো থাকে ব্যস্ততায়,
বাবা-ই তো ছেলে মেয়েদের বুকের মাঝে
খুব আদরে স্নেহে ভালোবাসায় জড়ায়,
দুঃখে কষ্টে ও বাবা তাদের চাহিদা মেটায়
সারাজীবন ছায়া হয়ে তাদের আগলায় ।

মা বলে মেয়েদের ডাকতে ভূলে না
ভূলে না তাদের গল্প শুনাতে বেলা কিংবা অবেলায়।

বাবা তো প্রথম বন্ধু সবার
পথ চলতে শেখার প্রারণা,
কোনো কিছুতে মন খারাপে
কারন থাকুক জানা কিংবা অজানা
বাবা কাছে এসে কথা বললেই
ছেলেমেয়েরা পায় শান্তনা
বা রুখে দাড়াবার তারনা ।

যদি কখনো খেলার ছলে হুছুট খায়
বাবার স্নেহভরা খুব আদরের বাচ্চারা,
তখন সেই বাবা-ই তো হয় তাদের
হুছুট খেয়ে আবার উঠে দারাবার শক্তি,
বাবার হাসি মুখটা তাই দেখলেই
মনের ভিতর সব কষ্টেরা পায় মুক্তি ।

বাবার সাথে এখানে যাবো,ওখানে যাবো
বাবা সাথে না এলে যাবো না কোথাও
ঘরেই থাকবো এককোণে চুপটি করে বসে
বাবা এলেই রাগ ভাঙাতে জড়িয়ে ধরে
সুযোগ বুঝে করবো বসে মহা যুক্তি,
সবাই মিলে ঘুরতে যাবো পাহাড়,নদী
আর পাবে সবাই ঐ দিন একলা কোণে
বদ্ধ ঘরের আধার থেকে মুক্তি
একসাথে ঘুরতে যাবার আনন্দ খুশি।
পৃথিবী ঘুরে আলো দেখবো,
প্রকৃতির খুব কাছে যাবো
বসে বসে বাবার সাথে
করবো আমি যুক্তি।

বাবাকে নিয়ে বোনেদের যত ঝগড়া
তোকে না আমায় আরে আমায় না তোকে
বাবা ভালোবাসে খুব করে রাখে আদরে,
বাবার সাথে অভিমান হয় মনের অগোচরে
বাবার একটু অবহেলায় ,কম আদরে
তখন বিষন্নতার ছায়ারা ঘিরে ধরে,
আবার যখন কাছে এসে বাবা
আদুরে ডাক দিয়ে মা বলে জড়ায়
অভিমান ভরা কষ্টেরা তখন
সাত সাগর তেরো নদীর ওপারে হারায়।

বাবা চিন্তায় থাকুক কিংবা দুঃখে
ছেলে মেয়েদের রাখে অনেক সুখে
হাসি খুশি ,একেবারে রাজকন্যার বেশে
বাবা থাকলে পাশে তাই তো মেয়েরা
দিতে ও পারে পাডি এক দেশ থেকে
অন্য কোনো দূর অজানার দেশে।

বাবার মতো এমন কেউ নেই তো এ ধরায়
বাবা তোমাকে সন্মান জানাই আজ,
আমাদের জন্য করো তুমি
কতই না কঠিন যত কাজ
বাবা তোমার কষ্টে জানো বুকে পরে বাজ।

সবার সব অভিযোগ শুনো তুমি
আমি তো লিখি সামান্য কষ্ট,
আর আমার কষ্টটাই সবার থেকে লুকাই
তোমাকে আমার হয়নি বলা অনেক কথাই।
জানো বাবা আমারো আছে কষ্ট
আছে জমিয়ে রাখা বহু অভিযোগ
যা চাইলে ও আমি পারবো না-
কখনো বলতে কিংবা ভূলতে।

বাবা তুমি তো সবার-ই শুনো অভিযোগ
শুধু বলো না নিজেরটাই,
তুমি ও বুঝি কষ্ট জমাও,কষ্ট লুকাও?

কষ্টের আভাশ জানো বাবা –
দেখতে না একেবারে মেঘের পালক!
যাই হোক,আজ এক সত্য লিখি কবিতায়
তুমি-ই বাবা আমার ইহলোক পরলোক
তাই তো আমার ভয় লাগে না
মেঘে কিংবা বজ্রপাতের শব্দে।

আমি কবিতায় লিখি,কবিতায় বলি
কবিতায় দিয়ে যাই অভিশাপ,
যে বা যারা এই বাবাদের দেয় আঘাত
তাদের শেষ হোক , লাগুক লাজ
বাবারা তো তাদের জন্য করে
কঠিন থেকে কঠিনতর কাজ,
মাথার ঘাঁম পায়ে ফেলে
তাদের ও ছোটবেলায় ক্লান্তি ভূলে
হাসিমুখে নেয় কোলো তুলে।

আফসোস সবার জন্য আফসোস
সবাইকেই বলা হয় ভালোবাসি
সবাইকেই তো বলেন আপনারা,
শুধু এই বাবাকেই কেন হয় না বলা?
আমি তো বলে দিয়েছি আমার আব্বুকে
আমার লিখা এ কবিতায় শব্দের মালায়
আব্বু আমি ভীষণ ভালোবাসি তোমায়।