সোনারগাঁয়ে ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় যুবককে হত্যা, বাড়িঘরে আগুন,ভাংচুর
সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ছোট সাদীপুর গ্রামে ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় এক যুবককে হকিস্টিক/ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটেয়ে নিহত করেছে সন্ত্রাসীরা।
জানা যায়,উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ছোট সাদীপুর গ্রামের বাসিন্দা মোতাহারের মেয়ে মিতু গত দুই/তিন দিন পূর্বে ডেমরা শামসুল হক উইম্যান্স কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই এলাকার বন্ধেরা গ্রামের রফিকুলের ছেলে জাকির হোসেন উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিতুকে তার পথ রোধ করে অশুভ আচরন করে এবং তার গায়ের ওড়না টেনে ধরে।
মিতুর পরিবারের অভিযোগ বখাটে জাকির প্রতিদিন তার কলেজে যাওয়া আসার সময় বিভিন্ন ভাবে ডিস্টার্ব এবং ভয় ভীতি দেখিয়ে আসছিল, লোক লজ্জায় মুখ না খুললেও গত কয়েকদিন আগের ঘটনা শিক্ষার্থী মিতু তার পরিবার ও স্বজনদের জানাতে বাধ্য হয়।
এঘটনা শুনে মিতুর মামাতো ভাই ছোট সাদীপুর গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ মিয়ার ছেলে সুলতান আহম্মেদ মিন্টু বখাটে জাকির হোসেনকে মৌখিক ভাবে শাসিয়ে আসে।তারপর থেকেই জাকির তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মিন্টুর পিছনে লেগে থাকে।
গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০ ঘটিকার সময় মিন্টু মোগরাপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জাকির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে রাস্তায় একা পেয়ে হকিস্টিক/ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে এলো পাথারী মারধর করে।
পরে স্থানীয়রা ছুটে আসলে পালিয়ে যায় জাকির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
প্রথমে মিন্টুকে সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় কিন্তু তার অবস্থার অবনতি দেখে পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসা গ্রহনের পর রবিবার সকালে ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেয়।
সুলতান আহম্মেদ মিন্টুর মৃত্যুর খবর তার এলাকায় ছড়িয়ে পরে।তারপর থেকেই শুরু হয় ধাওয়া পালটা ধাওয়া।
এ ঘটনায় ছোট সাদীপুর গ্রামের দুই/তিনটি বসত ঘরে ভাংচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।সোনারগাঁও থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান,এলাকায় এখন স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।