আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাংলার সিংহাম এবার ঢাকা মেট্রোপলিটনে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে সফল সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশানার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ (পুলিশ-১ শাখা) থেকে ধঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশানার হিসেবে পদায়ন করা হলো। এদিকে  নারায়ণগঞ্জে মাদক সন্ত্রাস, ভূমিদস্যু ,চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিলেন হারুণ। তার কাজে খুশি হয়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাংলার সিংহাম উপাধী দেওয়া হয়।

একটি চক্রের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে হারুন অর রশীদকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর) শাখায় বদলী করা হয়।  ৭ নভেম্বর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিদায় নেন। এদিন তার বিদায় উপলক্ষে পুলিশ লাইনসে সংর্ধ্বনার আয়োজন করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। বিদায় অনুষ্ঠানে ‘নিজের সাথে যা হয়েছে তা ষড়যন্ত্র’ দাবি করে বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, “অপরাধী যখন ফেঁসে যায়, মামলা হয়, গ্রেফতার হয় অথবা তদবির করে ব্যর্থ হয় তখন তারা একটা কথাই বলে ‘পুলিশ আমার কাছ থেকে টাকা চেয়েছে’। সম্ভবত পুলিশের উপর দোষ চাপানোর জন্য এটাই সহজ কাজ।”

তিনি আরও বলেছিলেন, “আমি অপরাধীর বিরুদ্ধে কাজ করেছি। আইনের স্বার্থে কাজ করেছি। এ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। এটা একটা ষড়যন্ত্র। তদন্ত হলেই আসল সত্য বের হয়ে আসবে।”

হারুন বলেছিলেন, “আমার সামনে আমার সহকর্মীর মাথায় কেউ পিস্তল তাক করবে আর সেটা আমি সহ্য করবো! তা হতে পারে না। তাই সেদিন আমার সহকর্মীর মাথায় পিস্তল ধরেছিলো পারটেক্স গ্রুপের রাসেল। আমি তখন ভেবে দেখিনি সে সম্পদশালী নাকি শক্তিশালী। আমি আইন মোতাবেক কাজ করেছি। বিধি মোতাবেক তাকে চ্যালেঞ্জ করে তার গাড়ি আটকিয়ে মাদক ও গুলি পেয়েছি। সে অস্ত্রসহ পালিয়েছে।”

২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর ডিএমপি থেকে নারায়ণগঞ্জের এসপি হিসেবে বদলি করা হয় মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে। ১১ মাসব্যাপী তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জবাসী তার কাজকে পছন্দ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছিলো তা মিথ্যা। আর এ  কারণেই সরকার তাকে আবার গুরুত্বপূর্ণ পদে পদোন্নতি দিয়েছে।