আজ মঙ্গলবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তৈরি পোশাক পাচার নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত চলচ্চিত্রে রাইমা

বাংলাদেশ-ভারত চলচ্চিত্রে রাইমা

তৈরি পোশাক পাচার নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত চলচ্চিত্রে রাইমাবাংলাদেশ-ভারত চলচ্চিত্রে রাইমা

সংবাদচর্চা ডেস্ক:

বাংলাদেশের তৈরী পোশাক কিভাবে বেইআইনীভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাচার হয় তা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন রাইমা।

এ ব্যাপারে  রাইমা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মুম্বইয়ের পাশাপাশি আবার তাকে বাংলা ছবিতে দেখা যাবে এই বছর৷ সেই তালিকায় যে নামটা প্রথমেই রয়েছে , সেটা হল আশিস রায় পরিচালিত ‘সিতারা ’৷ এই ছবিতে একেবারে অন্যরকম ভাবে পাওয়া যাবে নায়িকাকে৷

ছবির গল্প বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত ঘিরে৷ গল্প মূলত বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসার ওপর৷ বাংলাদেশে তৈরি পোশাক বেআইনীভাবে পাচার হয় ভারতবর্ষে৷ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে শিয়ালদহ হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে এই পোশাক৷ কিভাবে আর কাদের মাধ্যমে এই কাজ হয় তা নিয়ে গল্প এগোয়৷ সঙ্গে তাদের জীবনযাত্রা৷ তিস্তা নদীকে কাজে লাগায় অসাধু ব্যবসায়ীরা৷ সঙ্গে থাকেন মহিলারা৷ বলা যেতে পারে এরাই প্রধান এই ব্যবসায়৷ গৃহবধূরা নানা কারণে এই ব্যবসায় এসে বারবণিতায় পরিণত হয়৷ এমনই একজন সিতারা, তিনি খুব সুন্দরী৷ চোরা ব্যবসার মধ্যমণি৷ তাকে নিয়ে টানাটানি চলে মহাজনদের মধ্যে৷ তার মতো আরও মহিলা রয়েছে এই ব্যবসায়৷ মহাজনরা নিজেরা তো তাদের ভোগ করেই, ব্যবসার প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর শয্যাসঙ্গিনী হতে হয় এই মহিলাদের৷ কখনও কখনও স্বামীরাও পাঠিয়ে দেয় এই কাজে নানা কারণে৷

৮০’র দশকে লেখা আবুল বাশারের গল্প ‘ভোরের প্রসূতি’ থেকে তৈরি হচ্ছে এই সিনেমা৷ গল্প একই রখে শুধু নাম পরিবর্তন করছেন পরিচালক৷ সময়টা কি ৮০ ’র দশকই রাখছেন ? ‘না , সময়টা আজকের রাখছি’- জানালেন পরিচালক৷ তখন তো মোবাইল ফোন ছিল না৷ এখন রয়েছে৷ ‘এই বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন আজও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না৷ কারণ এতে তাদের পুলিশের জালে জড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে৷ তাই গল্পের সময়ের সঙ্গে আজকের দিনের তেমন কোনও ফারাক নেই’ -যোগ করলেন আশিস৷

তিনি জানান, ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্যুটিং শুরু হবে৷ মুখ্য চরিত্রে রাইমা সেন৷ তার চরিত্রের স্বামী জীবন৷ এই চরিত্রে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের অভিনেতা এফ .আর . বাবু৷ জীবন সিতারাকে দেখাশোনা করার জন্য বিলু নামের একটি ছেলেকে পাঠিয়ে দেয় তার সঙ্গে৷ সেই চরিত্রেও অভিনয় করছেন বাংলাদেশের অভিনেতা জাহিদ হাসান৷ এছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন দক্ষিণের এম . নাসের (‘বাহুবলি ’ ছবিতে শিবগামীর স্বামীর চরিত্রে যাকে দেখা গিয়েছিল)৷ কবীর নামে এক মহাজন তিনি৷ যার রক্ষিতা সিতারা৷ মুম্বইয়ের মেঘনা নাইড়ু রয়েছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে৷ চরিত্রের নাম লক্ষ্মণা৷ সুব্রত দত্ত অভিনয় করছেন একজন রাজনৈতিক নেতার ভূমিকায়৷ এছাড়াও থিয়েটারের বেশ কিছু শিল্পী রয়েছেন ছবিতে৷