সংবাদচর্চা রিপোর্ট
নানা কারণেই বহুল আলোচিত সমালোচিত নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের বাসায় কোন আলোচনা ছাড়াই ৫০/৬০ জন লোক নিয়ে উপস্থিত হয়ে। আব্দুল হাইয়ের ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীদের দাবি মূলত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে ভয় দেখাতে এই কাজ করেছেন তিনি।
জানা গেছে শহরের মার্ক টাওয়ার বিল্ডিং এর ৮ম তলায় পরিবার নিয়ে থাকেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। রোববার সকালে একসাথে ২০/৩০ জন লোক নিয়ে আব্দুল হাইয়ের ফ্লাট বাসার দরজায় উপস্থিত হন দল থেকে বহিষ্কৃত আল মামুন। বাকি লোকজনরা নিচে অবস্থান করে। তারা ক্রমাগত কলিং বেল বাজাতে থাকেন। তাদের উপস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পরেন আব্দুল হাইয়ের পরিবারের সদস্যরা। পরে দরজা খুলে আল মামুনকে দেখতে পান আব্দুল হাইয়ের বড় ছেলে তানভীর হাই। এসময় তারা আব্দুল হাইয়ের খোঁজ নেন।
তানভীর হাই অভিযোগ করে বলেন, কোন পূর্ব আলোচনা ছাড়াই আল মামুন অনেক লোক নিয়ে আমাদের বাসায় হাজির হন। যে কারণে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। নিচেও তাদের অনেক লোক উপস্থিত ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। দারোয়ান বাঁধা দিলেও তারা জোর করে উপরে উঠেছে বলে আমরা জেনেছি। এসময় তারা আমার বাবার খোঁজ নেন। কিন্তু দলের কাজে বাবা তখন ঢাকায় ছিলেন।
এদিকে আল মামুনের এই কান্ডে ক্ষুব্ধ আবদুল হাই। তাকে ভয় দেখাতেই এই কর্মকান্ড ঘটিয়েছেন আল মামুন। এই ঘটনাকে ‘কান্ডজ্ঞানহীন’ কর্মকান্ড বলছেন তিনি।
আবদুল হাই বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা উচিত কেন কোন পূর্ব আলোচনা ছাড়াই তারা আমার বাসায় হাজির হয়েছে। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছি।
এই বিষয়ে আল মামুন বলেন, আমরা তার বাসায় যাই নেতার সাথে দেখার করার জন্য। তখন আবদুল হাই সাহেবের ছেলে এসে জানায় তার বাবা বাসায় নেই । তখন আমরা তার বাসা থেকে চলে আসি। আমাদের সাথে কোন তর্ক বা হৈ চৈ কিছুই হয় নি।
উল্লেখ্য সর্বশেষ অনুষ্ঠিত গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফজর আলীর পক্ষে কাজ করেছিলেন আল মামুন। দলের বিরুদ্ধে কাজ করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।