আজ রবিবার, ১৭ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরে ৪০ বছর যাবত স্কুলের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ, এমপি সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা

 সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলাধীন ৬০ নং বালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা ৪০ বছর ধরে দখল করে অবৈধ ভাবে দোকানপাট গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নাছির মাস্টারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও জমিদাতা মৃত জালাল মাস্টারের ছেলে নাছির মাস্টার ও তার ছোট ভাই কাজী সাঈদ এর বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বন্দর উপজেলাধীন মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের বালিগাঁও এলাকায় ৬০নং বালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য মরহুম জামাল উদ্দিন মাষ্টার ৩৩ শতাংশ জায়গা দান করেন। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ জায়গায় গড়ে উঠে স্কুলটি। বাকী ১৮ শতাংশ জায়গায় নাছির মাস্টার জোর করে আধাপাকা দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। নতুন করে আবারও জায়গায় দখল করার জন্য কাজী সাঈদ এলাকাবাসীর চলাচলের দীর্ঘ ৪০ বছরের  একমাত্র রাস্তাটি জোর পূর্বকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে নাছির মাস্টার গং।

বালিগাঁও এলাকাবাসী জানান, আমরা স্থানীয় এলাকাবাসী স্কুলের জায়গা দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য অনেক বার বাধা দিয়েছি কিন্তু নাছির মাস্টার ও তার ছোট ভাই ৬০ নং বালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি কাজী সাঈদ কাউকে তোয়াক্কা না করে ১৮ শতাংশ জায়গা দখল করে রেখেছে। বন্দর উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দখল ছাড়ার জন্য বললে ও কোন পাত্তা দিচ্ছে না নাছির গং।

স্থানীয় এলাকাবাসী আরও জানান, কেবল এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নয়, আশপাশের চার-পাঁচটি গ্রামের কিশোর ও তরুণরা এই স্কুলের রাস্তাটি দিয়ে চলাফেরা করে। এবং তারা স্কুলের বাকী জায়গাটি দখলমুক্ত করে খেলাধুলা করার জন্য মাঠের ব্যবস্থার  জন্য নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

৬০ নং বালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি কাজী সাঈদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সংবাদচর্চা কে জানান, বালিগাঁও স্কুলের সামনে এখন জায়গাটি দেখার জন্য কামতাল তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ আসছে। সকালে স্কুলের জায়গাটি বন্ধ করে দিয়েছেন এ কথা বলার সাথে সাথে ফোনটি কেটে দেয়।

৪০ বছর ধরে স্কুলের জায়গা দখল করে রেখেছে এ বিষয়ে নাছির মাস্টার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সংবাদচর্চা কে জানান, স্কুলের জায়গাটি আমার পিতা মরহুম জালাল মাস্টারসহ বিভিন্ন লোকে দান করে গেছেন। কিন্তু কিছু লোক জোর করে স্কুলের জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা চায়। এর আগেও অনেক বার রাস্তাটি বন্ধ করার চেষ্ঠা করি কিন্তু পারিনি। আজকে সকাল ১১ টায় এলাকার লোক জন নিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেই। স্কুলের জায়গা সাড়ে ১৫ শতাংশ বাকী জায়গা অন্য পাশে রয়েছে। এবং দোকান গুলো আমাদের জায়গায় আছে।