সংবাদচর্চা রিপোর্ট: শীতলক্ষা নদীর পূর্বেপাড়ে বন্দর ১নং খেয়াঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুব জামিলের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন, সহকারি পরিচালক মোঃ নূর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন। সেমিপাকা মার্কেট, সেমিপাকা ঘর, টং দোকানসহ কমপক্ষে ৩০টি অবৈধ স্থাপন উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়াও আগের দিন মাইকিং করায় বন্দর সেন্ট্রল খেয়াঘাট এলাকার অর্ধশতাধিক টিনসেড ঘর দখলদাররা নিজেরাই সরিয়ে নেয়। উচ্ছেদ অভিযানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও দুপুরে বন্দর গঙ্গাকুল মৌজায় পীর জাকির শাহ নির্মানাধীন যুবরাজ মার্কেটের শতাধিক দোকানঘর উচ্ছেদ করতে গেলে বিআইডব্লিউটিএ অভিযানে বাধা প্রদান করে দখলদাররা। ওই সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডসহ হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে দখলদাররা হাইর্কোটের স্থগিতাদেশ দেখালে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ থেকে বিরত থাকে। অপরদিকে সোনাকান্দা মৌজায় উচ্ছেদকৃত জমির মালিকানা দাবীদার ইলিয়াছ ও মানিক জানান, তাদেরকে উচ্ছেদের কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি। তারা আমিন জুট কোম্পানী আমমোক্তার নামা সূত্রে মালিক হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, মঙ্গলবার বন্দর সেন্টাল ঘাট থেকে ডিইপিটিসি পর্যন্ত প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়াও আগের দিন মাইকিং করায় বন্দরে সেন্টাল খেয়াঘাটে এলাকার অর্ধশতাধিক টিনসেড ঘর দখলদারা নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছে। হাইর্কোটের নির্দেশ অনুয়ারী শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।