ঢাকা: রাজধানীর বনশ্রীতে গৃহকর্মী লাইলী বেগম (২৫) হত্যা মামলায় বাড়ির মালিক মুন্সী মইনউদ্দিন ও দারোয়ান তোফাজ্জল হোসেন টিটুর ৩ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওইদিন গৃহকর্ত্রী শাহনা বেগমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
এরও আগে গত ৪ আগস্ট রাতে নিহত লাইলীর স্বামী নজরুল ইসলামের বড় ভাই (ভাসুর) শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে গৃহকর্তা মঈনউদ্দিন, গৃহকর্ত্রী শাহানা ও বাড়ির দারোয়ান তোফাজ্জলকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে স্থানীয়দের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে পুলিশ একটি মামলা করে। দুইটি মামলাই রাত ১১টার দিকে করা হয়। শুক্রবার গৃহকর্তা ও দারোয়ানকে গ্রেপ্তার করা হলেও গৃহকর্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয় শনিবার।
গত ৪ আগস্ট বনশ্রীর ৪ নম্বর সড়কে জি ব্লকের একটি বাসায় গৃহকর্মী লাইলী বেগমের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। লাইলীকে হত্যার অভিযোগে তার পরিবার ও এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালায় এবং সড়কে গাড়ি ভাঙচুর করে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক দফা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ওইদিন রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। লাইলীর পরিবারের অভিযোগ, লাইলীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে গৃহকর্তা মইনুদ্দিন বলছেন, লাইলী বাসায় কাজ করতে আসার পর বাড়ির একটি ঘরে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন। পরে দরজার ছিটকিনি ভেঙে ঘরের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাইলীকে পাওয়া যায়। লাইলী বনশ্রীর পাশে হিন্দুপাড়া বস্তিতে থাকতেন। তার ছোট দুইটি সন্তান রয়েছে।