স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে সমগ্র বাঙালি জাতি মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে আমরা বাঙালিরা যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। তারপর বঙ্গবন্ধু ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীন ঘোষণা দেয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করেছি।
গতকাল চনপাড়ায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ( ৫০ বছর) উপলক্ষ্যে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিবর বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। ৭ মার্চের ভাষণকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির না। উনি সারা বিশ্বের নেতা। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ববাসির একটি সম্পদ। পরাধীন জাতির মুক্তির একটি ঐতিহাসিক বার্তা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের কন্ঠস্বর। যেখানেই অন্যায় অবিচার ছিলো সেখানেই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেছেন।
প্রসঙ্গত আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমাবেশে দেওয়া ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার আহ্বানের অধীর অপেক্ষায় ছিল বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। স্বাধীনতার যে ডাক বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, তা বিদ্যুৎ-গতিতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। নিজস্ব প্রতিবেদক।