বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সাজ সাজ রব রূপগঞ্জে । বঙ্গবন্ধুর অনেক বিরল ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন মোড়ে ও ব্যস্ততম সড়কগুলোতে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে এসব ব্যানার আনন্দধারায় এক অন্যরকম মাত্রা যুক্ত করেছে। আর এসবের ব্যবস্থা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এবং তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী। তারা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে । রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন স্মরণীয় করে রাখতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী সংগঠন। ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন হবে । এ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের সার্বিক সহযোগিতায় ও মেয়র হাছিনা গাজীর উদ্যোগে তারাব পৌরসভার সামনে এলইডি স্ক্রিন সংযোজন করা হয়েছে। উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদে শোভাবর্ধন করা হয়েছে। জনবহুল স্থানে , গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্কুল-কলেজে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। উপজেলা জুড়ে বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে বিভিন্ন কার্যক্রম, পারিবারিক ও বৈদেশিক সম্পর্কিত ছবি ও চিত্র সম্বলিত ব্যানার ও বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে। মুজিববর্ষের এসব ব্যানার ও বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, বিভিন্ন চুক্তি সম্পর্কিত সমঝোতা স্বাক্ষর, জাতিসংঘে ভাষণ, জনতার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু হাত উঁচিয়ে শুভেচ্ছা, মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি স্বাক্ষর, পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু-এমন নানা ধরনের ছবি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক রূপগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটা ইউনিয়ন , পৌরসভা ও ওয়ার্ডে মুজিববর্ষ পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামীকাল ( ১৬ মার্চ) রাত আটটায় বঙ্গবন্ধু জন্মক্ষণ উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় রূপগঞ্জে একযোগে আতশবাজি প্রদর্শনী হবে। ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৬টায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। দোয়া মাহফিল , বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগীতা ,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা হবে। এছাড়া মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ উপজেলার সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।