সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জ মানুষকে ফুটপাতে চলাচল নিশ্চিত করতে অভিযান চালান পুলিশ প্রশাসন। মাত্র কয়েক ঘন্টার কঠোর অ্যাকশনে ফুটপাত মুক্ত নগরী গড়তে সফল হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের এই সেক্টরটি।
কিন্তু প্রশাসন ফুটপাত মুক্ত নগরী গড়তে পারলে যানজট মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ যানজটে নাকাল ভুক্তভোগীদের।
জানা যায়, মানুষকে ফুটপাতে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে কঠোর অভিযান চালান পুলিশ প্রশাসন। আর এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলার সিংহামখ্যাত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। যার একক সিদ্ধান্তেই এই অভিযান সফল হয়েছেন বলেই সূত্রে পাওয়া যায়। এমন অভিযান পূর্বেও পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। কিন্তু প্রশাসন ব্যর্থ নয় বরং সফল হয়ে এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। প্রশংসা পেয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। কিন্তু কি কারনে এখনো যানজট মুক্ত নগরী গড়তে ব্যর্থ হচ্ছেন তার কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, ট্রাফিক বিভাগের পর্যাপ্ত লোকবল না থাকার কারনেই সড়ক নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হচ্ছে তারা।
সরেরজমিনে দেখা যায়, ফুটপাতে কোন হকারদের অবস্থান নেই। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শহরজুড়ে ভয়াবহ যানজটে অবর্ণনীয় সমস্যার মধ্যে পড়েছেন নগরবাসী। নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে পশ্চিম পাশের সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে। যানজটের কারণে পরীক্ষার্থী, এম্বুলেন্স সহ অনেককেই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হঠাৎ করেই কেন এই যানজট তা খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, এর নেপথ্যে রয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের চাষাঢ়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও শিবুমার্কেট এলাকা থেকে ড্রেন নির্মানে ধীর গতি। এ কারণে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করায় বেড়েছে যানজট।
গতকাল সকালে চাষাঢ়া এলাকায় কথা হয় ঢাকাগামী উৎসব পরিবহনের চালক আশিকের সঙ্গে। তিনি জানান, শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে চাষাঢ়া বাস কাউন্টারে আসতে সর্বোচ্চ ৫ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু দেড় ঘণ্টায় তিনি ওই পথ পাড়ি দিয়েছেন। অথচ নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার গুলিস্থানে যেতেই সময় লাগে মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট। যানজটে পড়ে থাকতে দেখা গেছে রোগীবাহী অনেক অ্যাম্বুলেন্সকেও। অনবরত সাইরেন বাজিয়ে চললেও অ্যাম্বুলেন্সকে সাইড দেওয়ার মতো কোনো জায়গা ছিল না।
সরেজমিন দেখা গেছে, চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাব মোড় থেকে নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজের গলি পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশ ভয়াবহ রকম ভাঙা এবং উচু নিচু স্থান। এই স্থানগুলোকে অপসারণ করতেই ধীর গতিতে সময় নিচ্ছে। যার করনেই বাড়ছে ভোগান্তি।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সামিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, ট্রাফিক সদস্য আমাদের কম রয়েছে। যেখানে ৩০-৪০ ট্রাফিক সদস্য থাকার কথা, সেখানে ৫-৭জন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। যানজট নিরশনের জন্য স্থায়ী কিছু নিরশন কর্মী নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।
তিনি আরও বলেন, যানজটের মূল কারণ অবৈধ রিক্সা। সিটি কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী বৈধ রিক্সা ১০হাজার কিন্তু রাস্তায় দেখা যায় ৫০হাজারেরও অধিক রিক্সা আছে। আর বর্তমানের সড়ক ও জনপথ বিভাগের লিংক রোডের সড়কের সংস্কারের কাজ করার কারনে কিছুটা জানযট লেগে থাকছে।