সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাং রোডে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তা ফুটপাত দখল করে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে। পর্দার আড়ালে থেকে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা এই চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্ষমতাসীনদের সাথে প্রশাসনের একটি অংশও এ থেকে বড় অঙ্কের মাসোহারা নিচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতার পালা বদলের সাথে সাথে একটি চক্র ক্ষমতাসীনদের সাথে মিশে যায়। শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে এরা ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ চক্রের সাথে সিটি কর্পোরেশনের তিনজন কাউন্সিলরের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
ফুটপাতের কয়েকজন হকার অভিযোগ করেন, এলাকার ইয়াছিন, করিম, শামীমসহ অজ্ঞাত আরো অনেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার সময়ে ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে চাঁদা উঠাচ্ছেন। নিয়মিত চাঁদা না দিলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি পুলিশও নানা হয়রানি করে। ফুটপাতে চাঁদা তোলা এরা কারা এমন প্রশ্নের জবাবে কয়েকজন হকার বলেন, ভাই আপনার সাংবাদিক সব জানেন। কিছু কিছু সাংবাদিক ভাই আসে, খবর নেয় কিন্তু পত্রিকায় লেখে না। এরা কার লোক আমরা বললে বিপদে পড়তে হবে।
তাদের দেয়া তথ্যমতে, চিটাগাংরোড রেন্ট কার থেকে থেকে শুরু করে ডাচ বাংলা ব্যাংক পর্যন্ত অবৈধভাবে দোকানপাট উঠিয়ে প্রতিদিন ৫ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে। যা মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা। পুলিশের নাকের ডগায় এসব হলেও পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করছে। হকাররা আরো জানান, চাঁদাবাজরা কয়েকজন কাউন্সিলরের নামেও চাঁদা নেয়। এরা কাউন্সিলরের লোকজন এর প্রমাণ কী এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আমরা বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের কাছে নালিশ করতে গিয়েছিলাম। তাদের কাছ থেকে তেমন সাড়া পাই নাই। আবার ওইসব লোকদের তাদের আশেপাশে ঘুরতেও দেখি। এতেই বোঝা যায় এরা কার লোক।
তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা দাবি করেছেন, এরা ক্ষমতাসীন দলের কেউ না। কেউ যদি দলের নাম ভাঙ্গায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু হকাররা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগের কোন অনুষ্ঠান হলে ওইসব লোকজন শীর্ষ নেতাদের নামে টাকা নিয়ে যায়।
তবে এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ওসি। তিনি বলেন, এমন কোন অভিযোগ আসেনি। যদি এর সত্যতা থাকে তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।