ফতুল্লা প্রতিনিধি:
ফতুল্লায় মফিজুল ইসলাম (৪৫) নামের এক নৈশপ্রহরীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (২৯ আগষ্ট) ভোর সাড়ে ৪টায় ফতুল্লার পূর্ব গোপালনগরস্থ পশ্চিম পাড়া (মজিবুর মাদবরের বাড়ি সংলগ্ন) এলাকার একটি মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুল শহরের খানপুর ৩ শ’ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় আহতের ভাতিজা ফতুল্লা থানায় একই এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে মাহাবুবকে প্রধান আসামী করে আরো অজ্ঞাতনামা তিনজনের বিরদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা যায়, মফিজুল ইসলাম পূর্ব গোপালনগর পশ্চিম পাড়া (মজিবুর মাদবরের বাড়ি সংলগ্ন) এলাকার একটি মার্কেটে ১০ মাস যাবৎ নৈশপ্রহরী চাকরী করে আসছিলো। মাহবুব ও তার সহযোগীরা রাতের বেলা ওই মার্কেটে মাদক সেবন, বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে।
এতে নৈশপ্রহরী মফিজুল ইসলাম বাধা দেয়। এনিয়ে মাহাবুব তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এসব ঘটনায় মাহাবুব ও তার লোকজন মফিজুলকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধাঁমকি দেয়।
এসব ঘটনায় চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ১৩ এপ্রিল মফিজুল ফতুল্লা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উল্লেখিত মার্কেটের একটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে মাহবুব এ ঘটনার স্বীকার করে। তারপর থেকেই প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে মফিজুলকে।
এদিকে, প্রতিদিনকার মত মঙ্গলবার (২৮ আগষ্ট) রাতে মফিজুল তার কর্মস্থলে চলে যায়। পরে বুধবার (২৯ আগষ্ট) ভোররাত ৩ টার দিকে মাহবুব ও তাঁর সাথে থাকা অন্যান্যদের সাথে মফিজুলের মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে এলোপাথারি মারতে থাকে।
মারপিটের এক পর্যায় মাহবুব একটি ধারালো ছোরা দিয়ে মাথার ডান পাশে আঘাত করলে সে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।
আহতের স্বজনদের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই মাহাবুব তার লোকজন নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
এরপর এলাকাবাসী মফিজুলের ডাক চিৎকার শুনে ছুটে আসলে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় মার্কেটের বাছেদ মাদবরের দোকানের সামনে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে খানপুর ৩ শ’ শয্যা হাসাপাতালে ভর্তি করে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত (বুধবার বিকেল ৩টা) মফিজুল খানপুর ৩ শ’ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।