নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ২ হাজার ২৭৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তবে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তাদের অনেকেই গতকাল সোমবার থেকে নির্বাচন কমিশনে আপিল করছেন। এসব আবদনের ওপর শুনানি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি।
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে অাপিল আবেদন নেয়া হচ্ছে। আপিল গ্রহণের জন্য ইসি কার্যালয়ে ৮টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা বুথ করা হয়েছে। প্রার্থী বা তার মনোনীত প্রতিনিধিরা কমিশন চত্ত্বরের স্থাপিত এসব বুথে আপিল দায়ের করছেন।
সকাল থেকে ইসিতে প্রার্থীসহ তাদের অনুসারীরা জড়ো হয়ে তথ্য-প্রমাণসহ ইসিতে অভিযোগ দায়ের করছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার অাপিলের প্রথম দিনে ভোটে লড়তে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ৮৪ জন ইসিতে আপিল করেছেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, প্রার্থিতা বাতিল হলে সংক্ষুব্ধরা সোমবার থেকে বুধবার (৩-৫ ডিসেম্বর) মধ্যে ইসিতে অভিযোগ করতে পারবেন। ইসি ৬-৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিলগুলোর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে।
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এটা করতে হবে আগামী ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর কমিশন প্রার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনই আপিল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করবে।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ৩০০ আসনে মোট ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই বাচাইয়ে সারাদেশে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এর মধ্যে বিএনপির ১৪১ প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের ৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
তফিসল অনুযায়ী, একাদশ সংসদে ভোটগ্রহণ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।