আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে পুলিশ ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের দুর্ভোগ

পুলিশ ইমিগ্রেশনে

পুলিশ ইমিগ্রেশনে

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি: বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে পুলিশ ইমিগ্রেশনের বহির্গমন ডেস্ক না থাকায় যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।পুলিশ ইমিগ্রেশনের বহির্গমন ডেস্ক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত ভারত গমনকারী যাত্রীদের ভোগান্তির কোনো সুরাহা হচ্ছে না।

কিন্তু দেশি-বিদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা ভারতে যাওয়ার সময় প্রথমে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে প্রবেশ করে যাত্রীদের ব্যাগেজ কাস্টমস স্ক্যানিং করার পর পুলিশ ইমিগ্রেশনের বহির্গমন ডেস্ক না থাকায় যাত্রীরা সেই সুফল পাচ্ছে না।কাস্টমস এ ব্যাগেজ স্ক্যানিংয়ের পর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল থেকে কাস্টমস চেকপোস্ট ভবনে অবস্থিত ইমিগ্রেশনে গিয়ে বহির্গমন পাসপোর্ট যাত্রীদের ডিপারচার সিল মেরে ভারতে যেতে হচ্ছে। এদিকে যাত্রীদের ব্যাগ চুরির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত।

অবাঞ্ছিত লোকজন প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে অবস্থান করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীদের বসার স্থানে দালাল ও পরিবহনের স্টাফদের বসে থাকতে দেখা যায়।

যাত্রীরা তাদের ব্যাগেজ স্ক্যানিং করার পর ইমিগ্রশনে যাওয়ার সময় দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ছে অহরহ। খোয়া যাচ্ছে তাদের টাকা, ডলারসহ ব্যাগেজ। দালালরা তাদের পাসপোর্টে ইমিগ্রেশনের ডিপারচার সিল মারার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। এসব দালালরা প্রায়ই ছিনতাই করে থাকে। তাছাড়া যাত্রীদের ব্যাগেজ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিত্যদিনের।প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের অভ্যন্তরে বহিরাগত পাসপোর্ট দালালরা সারাক্ষণ অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকলেও এখানে কর্মরত পুলিশ, আনসার, বিজিবির সদস্যরা যেন নীরব দর্শক। পুলিশের দেয়া তথ্য অনুসারে গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় ৮টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে টার্মিনালসহ (কেপিআই ভুক্ত) সংরক্ষিত এলাকায়।

প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল অভ্যন্তরে বাথরূমের সুবিধা ছাড়া আর কোনো সুবিধা পাচ্ছে না যাত্রীরা। অথচ যাত্রীদের কাছ থেকে টার্মিনাল চার্জ বাবদ ৪২ টাকা করে আদায় করছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, পাসপোর্ট যাত্রীদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের অভ্যন্তরে কাস্টমসের বহির্গমন যাত্রী স্ক্যানিং কার্যক্রমের পর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য বেশ কয়েকটি ডেস্ক স্থাপনের প্রস্তাব এসেছে। প্রস্তাবের বিষয়টি আমি পুলিশ ইমিগ্রেশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অনুমোদন পেলে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের অভ্যন্তরে প্রস্তাবিত স্থানে ডেস্ক স্থাপন করা হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহসহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বিশ্রাম নিতে বসার ব্যবস্থা ও বিনোদনের জন্য কালার টিভির ব্যবস্থা রয়েছে যাত্রীদের জন্য। তাছাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণকর ও টার্মিনাল চার্জ আদায়ের জন্য সোনালী ব্যাংকের বুথের কার্যক্রম চালু হচ্ছে এখানে। ইতোমধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বহির্গমন যাত্রীদের জন্য প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল অভ্যন্তরে চালু করেছে যাত্রীদের ব্যাগেজ তল্লাশির জন্য স্ক্যানিং মেশিন। এখানে ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এটি চালু হলে আন্তর্জাতিক মানের সেবা ও সুফল পাবেন যাত্রীরা এ আন্তর্জাতিক প্যাসঞ্জার টার্মিনাল থেকে।