আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, হারাবার কিছু নেই

পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে

পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে রচিত ‘রণধ্বনি’ গানের সিডি মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।আজ শুক্রবার সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা  ফখরুল ইসলাম আলমগীর গানের সিডি মোড়ক উন্মোচন করেন।

এ সময়  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের আর হারাবার কিছু নেই। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বক্তৃতার সময় শেষ, এখন সময় রুখে দাঁড়াবার।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘এখন সময় শেষ, আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশনেত্রীকে যেভাবে আটক রাখা হয়েছে, তা একেবারেই বেআইনি। হাইকোর্ট বেল (জামিন) দিয়েছেন। এরপরও নানা কৌশলে মাসের পর মাস খালেদা জিয়াকে আটক রেখেছে। উচ্চতর আদালত ছুটির কথা বলে প্রলম্বিত করছে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘আমরা বহুবার আলোচনা করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু সরকার আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। তারা বলে সংবিধান অনুযায়ী সব করবে। যে সংবিধান তারা কেটে-কুটে নিজেদের মতো করে নিয়েছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদেরকে দেশ রক্ষায় নামতে হবে। খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক। গায়ের জোরে তাঁকে আটক রাখার মানে হলো গণতন্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস করা, মানুষের অধিকার, মানুষের ভোটাধিকার নষ্ট করে এক ব্যক্তির শাসন নিশ্চিত করা। এ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতার চেতনা হত্যা করেছে। সময়টা এতই খারাপ, আজকাল বাসায়ও জড়ো হয়ে কথা বলতে পারে না মানুষ। আমরা পাকিস্তানের আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, এরশাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু তখন আজকের মতো এত ভয়াবহ সময় ছিল না।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অত্যাচার-নির্যাতনের দিক থেকে এ সরকার অতীতের সকল স্বৈরশাসককে হার মানিয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগের মতো দল এভাবে শাসন করছে। অথচ আওয়ামী লীগ একটি পুরোনো দল। তারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে একসময়। কিন্তু আজ তারাই গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় নয় শুধু, এক ব্যক্তির শাসন শুরু করেছে। আমাদেরকে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এ দানবকে প্রতিহত করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে। একটি অর্থবহ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

মেহেরপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার।