নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফতুল্লার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামী মিজান ওরফে পিচ্চি মিজানের বাহিনী এবার পিটিয়েছে মামলার বাদী নূরে আলমকে। ২৮ মে সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় ফতুল্লা থানার গেটের সামনে ওই ঘটনা ঘটে।
তবে পুলিশ বলছে, থানার গেটের সামনে না বরং অন্যত্র ঘটেছে। আহত নূরে আলমকে শহরের খানপুর ৩ শ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী মিজান ওরফে পিচ্চি মিজান ফতুল্লার মাসদাইর পাকাপুল এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।
মাসদাইর এলাকার সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত পিচ্চি মিজান। সরকারী দলের নাম ব্যবহার করে ১৬ থেকে ১৭টি গার্মেন্টের ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রন করছে। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে নানা ভাবে হয়রানী করে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান জানান, গত ২৬ মে দুপুরে ফতুল্লার কেতাবনগর এলাকার ভাটিয়ালী প্যাকেজিং কারখানার ওয়েস্টিজ মালামাল দেখতে যায় মাসদাইর এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ঝুট ব্যবসায়ী শহিদুল। সে যখন কারখানার মালিকের সাথে কথা বলে কারখানার গোডাউনে মাল দেখতে যায়। তখন সন্ত্রাসী পিচ্চি মিজান তার বাহিনী নিয়ে শহিদুলকে তুলে নিয়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে পিচ্চি মিজান তার কাছে থাকা পিস্তল বের করে শহিদুলের মাথায় ঠেক দিয়ে বলে এ কারখানার মাল নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হবে। পরে পিচ্চি মিজান সহ তার লোকজন শহিদুলকে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় শহিদুলের ভাই নূর আলম বাদী পিচ্চি মিজান সহ তার বাহিনীর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পিচ্চি মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর মিজানের সহযোগি ঝুট সন্ত্রাসী লাভলু বিকির সাথে থানায় যাওয়ার পর তাকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে হাজতে ঢুকিয়ে দেয়। কাশিপুর এলাকার ঝুট সন্ত্রাসী লাভলু।
তিনি আরো জানান, পিচ্চি মিজানের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা ও ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কমর্কান্ডের ৯ টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। এছাড়া পিচ্চি মিজানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের একাধিক অভিযোগও রয়েছে।
এদিকে সোমবার রাতে পিচ্চি মিজানের লোকজন নূরে আলমকে থানার গেটের সামনে পেয়ে মারধর করতে থাকে। মারতে মারতে তাকে ফতুল্লার ডিআইটি মাঠ এলাকাতে নিয়েও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।