আজ সোমবার, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাবনায় তারাপুর-কৈটোলা সংযোগ সড়কে নদী ভাঙন,হুমকির মুখে জনজীবন

পাবনায় তারাপুর-কৈটোলা সংযোগ সড়কে নদী ভাঙন

পাবনায় তারাপুর-কৈটোলা সংযোগ সড়কে নদী ভাঙন

নবকুমার:

পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার তারাপুর -কৈটোলা সংযোগ সড়কে কাকেশ্বরী নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কৈটোলা কুটিশ্বর ব্রিজ হতে তারাপুর রহিম মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫০০ ফিট রাস্তা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে ১০ হাজার লোক। বিপাকে পড়েছে গাড়ি চালকরা। গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। চাঁরটি বাড়িতে ভূমি ধ্বস দেখা দিয়েছে। তারাপুর কৈটোলা সংযোগ সড়ক দিয়ে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে যেতে পারছে না।

তারাপুর-কৈটোলা সংযোগ সড়কে নদী ভাঙন

জানা গেছে দীর্ঘ দিন যাবত অবহেলা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদাসিনতার কারণে তারাপুর কৈটোলা সংযোগ সড়কে নদী ভাঙনে বর্তমান ভয়ংকর রূপধারণ করছে।

গত ২৪ আগস্ট বেড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সামা মোল্লা ও কৈটোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোতালেব শেখ পাবনা ১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এড.শামসুল হক টুকুকে নদী ভাঙনের কথা জানালে টুকু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মোবাইল করে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু স্থানীয় সাংসদের নির্দেশের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তার ভাঙন রোধে কোন পদক্ষেপ নেয় নি।

এলাকা বাসি বলেন, এ রাস্তা দিয়ে কৈটোলা পাচুরিয়া তারাপুর কুশিয়ারা বাঘজানসহ বিভিন্ন এলাকার লোক যাতায়াত করে। আমরা সরকারের কাছে নদী ভাঙন রোধসহ রাস্তাটির সংস্করণ চাই। আমরা কৃষি পণ্য নিয়ে বাজারে যেতে পারছি না। আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে কষ্ট হচ্ছে।

আ.লীগ নেতা বলেন, আওয়ামীলীগ অধ্যুষিত এলাকায় নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। পাবনা ১ আসনের এমপি শামসুল হক টুকু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সামা মোল্লা , চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন এবং কৈটোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কে বিনীত ভাবে অনুরোধ করব আপনারা আর তারাপুর কৈটোলা সংযোগ সড়কের নদী ভাঙন নিয়ে উদাসিনতার পরিচয় দিবেন না। আমাদের নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন।

কৈটোলা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব শেখ বলেন, রাস্তাটি কৈটোলা এবং চাকলা ইউনিয়নের মধ্যে পড়ায় কাজ দ্রুত করা যাচ্ছে না। তবে নদী ভাঙন রোধে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া উচিত।

চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইউনুছ মোল্লা বলেন, এখন পর্যন্ত রাস্তাটির সংস্করণের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ