নবকুমার:
নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, পাট চাষীদের ন্যায্য মূল্য দেয়া হবে । পাট উৎপাদন মৌসুমে চাষীরা যাতে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত না হয় সে দিকে সরকার বিশেষ নজর দিচ্ছে। কোন ফড়িয়া চক্র আর পাট চাষীদের ঠকাতে পারবে না। প্রয়োজন হলে ফড়িয়া চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তাদের সাথে বৈঠকের সময় তিনি এ কথা বলেন।
কর্মকর্তা ও উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, পাট জাত পন্য সারা বিশ্বে শৌখিন বস্তুতে পরিণত হয়েছে। জনগণ পাট জাত পণ্য কিনতে আগ্রহী আছে । আমাদের পাট শিল্পের প্রচার বৃদ্ধি করতে হবে। সারা বিশ্বে প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে আন্দোনল চলছে । পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের নতুন নতুন ডিজাইন তৈরী করতে হবে।
এ সময় বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন, দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক বাজার সম্প্রসারণ সম্পর্কীত সমস্যা, সম্ভাবনা, এ খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
মন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা ও বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি ও বহুমুখি পাটপণ্যের উদ্যোক্তারা কি পরিমাণ পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করেছে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরী করা হবে। এজন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি), পাট অধিদপ্তর, পাটকল এ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বহুমুখী পাটপণ্য উদ্যোক্তাদের নিয়ে যৌথভাবে কাজ করবে। এ প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে সরকার পরবর্তী জরুরী করণীয় নির্ধারণ করবে।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা পাটের হারানো গৌরব ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বহি:বিশ্বে পাটের বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরের পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। সুতরাং অচিরেই পাট শিল্প হারানো গৌরব ফিরে পাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব রীনা পারভীন, মন্ত্রীর বিশেষ সহকারী এমদাদুল হক সহ অনেকে।