আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পরীক্ষায় মান নিয়ে শঙ্কা

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

সারাদেশ আজ আতঙ্কিত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্বারা। গতবছরের এসময়ও ছিলো এক অজানা নাম। করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা স্থবির হয়ে পরায় পিছিয়ে পরা শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে বাসায় অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে অর্ধ-বার্ষিক বা প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করেছে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত বাসায় বসেই। কিন্তু এই পরীক্ষার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে।

সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে রোববার থেকে শরু হবে পরীক্ষা। করোনা মহামারীর মধ্যে বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকা সত্বেও চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত বেতন ও পরীক্ষার ফি সহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করতে পরীক্ষার রুটিনের মধ্যে উল্লেখ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, তারা এই করোনা মহামারীর মধ্যে তাদের সন্তানদের জীবন ও ভবিষ্যত উভয় দিক নিয়েই চিন্তিত। এ সময় লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকলেও চলবে না তবে করোনার মধ্যে বিদ্যালয়গুলোর সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকা সত্বেও কেন বেতন পরিশোধ করতে হবে?

এ ব্যপারে বাড়িতে পরীক্ষার ঘোষণা দেওয়া মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা থাকলেও আমাদেরকে সন্তানের ভবিষ্যত নিয়েও ভাবতে হবে। তাই সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা চাচ্ছি আমাদের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ফিরিয়ে আনতে। তাই আমরা প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের নিজ নিজ বাড়িতেই প্রশ্নপত্র ও খাতা পাঠিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছি।

পরীক্ষার রুটিনের মধ্যে বেতন ও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করার নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা বেতন দেওয়া বাধ্যতামূলক বলি নি। বেতন না দিয়েও ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারবে। আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় কিভাবে স্বাভাবিক করা যায় সে জন্য কাজ করছি।
এছাড়াও নগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয় এবং আদমজী নগর এম. ডব্লিউ. উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বাড়িতে পরীক্ষা নেওয়া চলমান রয়েছে ও নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্কুল কতৃপক্ষগুলো।