আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নীলফামারীতে শিলাবৃষ্টি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

নীলফামারীতে

নীলফামারীতে

নীলফামারী প্রতিনিধি :
নীলফামারী জেলার ডোমার-ডিমলা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় মানুষের বসতবাড়ির বেশির ভাগ টিনের ঘর ছিদ্র হয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়েছে।

শিলা বৃষ্টি চলাকালে দমকা বাতাসের সাথে শুধুমাত্র বড় ও মাঝারি আকারের পাথর নিঝুম ভাবে পড়তে থাকে মাঠের পর মাঠ চলতি আমন ধানের ক্ষেত,তামাক, ভুট্টা, গম ও মরিচ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়।

আজ শুক্রবার সকাল নয়টায় উত্তর-পশ্চিম থেকে বয়ে আসা শিলা বৃষ্টি শত বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা জানান, ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি, গোমনাতি, বামুনিয়া ভোগডাবুড়ী, কেতকিবাড়ী, পাঙ্গামুটুকপুর ও ডিমলা উপজেলার খালিশাচাপানী, নাউতারা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে শিলাবৃষ্টিতে ওই ক্ষয়ক্ষতি হয়।নীলফামারীতে

একটানা ২০ মিনিট ধরে শিলা বৃষ্টিতে মাটির উপর বরফ জমে যায়। শিলাবৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর পরই ডোমার ও ডিমলার ইউএনও স্ব স্ব এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা পরিদর্শন করেন এবং তালিকা করার নির্দেশ দেন।ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবার ঘরবাড়ি মেরামত নিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

এ রিপোট লিখা পর্যন্ত ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ জানা যায় নি।

ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ফাতিমা বলেন,উপজেলার ভোগডাবুড়ী, কেতকীবাড়ী, জোড়াবাড়ী, গোমনাতি, বামুনিয়া, পাঙ্গামুকুকপুর ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অপরদিকে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ধারণা করা হচ্ছে সহ¯্রাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি তামাক, ভুট্টা, মরিচ ও গম ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। সঠিক পরিমান নিরুপনের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের চালে অস্থায়ী ভিত্তিতে পলিথিন টানিয়ে বসবাসের উপযোগী করা হচ্ছে।