সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জ শহরের র্যালীবাগানে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত আরজু বেগমের পরিবারকে হত্যাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। সেই হুমকির প্রতিবাদ এবং বাদী পক্ষের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আজ সকালে সংবাদ সংম্মেলন করেছেন নিহত আরজু বেগমের পরিবার সহ স্বজনরা।
সংবাদ সম্মেলন নিহত আরজু বেগমের স্বজনরা বলেন, আরজু হত্যায় একজন উকিল( হামিদা খতুন লিজা) জড়িত থাকায় নারায়ণগঞ্জ কোর্টের কমপক্ষে ১২শ আইনজীবী থাকা স্বত্বেও এ হত্যা মামলায় আমরা একজনও উকিল পাচ্ছি না।
আসামীরা উল্টো আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন মহল থেকে মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমিক প্রদান করছে। নিহত আরজু বেগমের ছোট মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে তাদের ভয়ভীতির কারণে সে কোচিংয়ে যেতে পারছে না। বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে যাতে মামলা পরিচালনা করতে না পারে।
সংবাদ সম্মেলেন বক্তারা আরো বলেন , কোন আইনে আছে উকিলদের বিচার হয় না। এটা কেমন আইন? এটা কোন গণতন্ত্র? তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাব। আমাদের গোটা পরিবার আজ অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা কি তাহলে সুষ্ঠু বিচার পাব না। যদি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আওতায় সেনাবাহিনী বিজিবি পুলিশ এমপি মন্ত্রী এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচার হতে পারে, বাংলার জমিনে তাহলে সে তো একটা সামান্য উকিল তার বিচার কেন হবে না। আজ আমাদের গোটা পরিবার আইনজীবী উকিলদের হাতে জিম্মি। সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাই । পরিশেষে বলতে চাই মাদক বিরোধী শ্লোগান দিতে গিয়ে আর কোন আরজু সন্ত্রাসীদের হত্যার শিকার যেনো না হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ মার্চ (শুক্রবার) নারায়ণগঞ্জ শহরের র্যালীবাগানে মাদকের প্রতিবাদ করায় ৫ সন্তানের জননী আরজু বেগমকে (৪০) মারধর ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয় । নিহত আরজু বেগমের জামাতা মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ সহ ২০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রমজান, পপি, হাসিনা, সাহের বানু, সোনিয়া আক্তার, শফিকুর রহমান, সাহাবুদ্দিন,এড. হামিদা খাতুন লিজা ,আসমা আক্তার কে আটক করে পুলিশ । পরে তারা ছাড়া পেয়ে যান।