আজ শুক্রবার, ২২শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জ রেলপথে নেই গেট বেরিয়ার বাড়ছে দুর্ঘটনা

মনি ইসলাম:
আমাদের দেশে বিভিন্ন কারনে ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা । সড়ক দূর্ঘটনার মূল কারণগুলো হচ্ছে আমাদের সচেতনতার অভাব ও কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির অভাব। বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে রেল লাইন মেইন সড়কের উপর দিয়ে। দেখা যায় স্ইে রাস্তার দু’পাশে যে বেরিকেট থাকার কথা নেই সে সব বেরিকেট বা এক পাশে আছে আরেক পাশে নেই। বিশেষ করে দেখা যায় যে সব অঞ্চলগুলো ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে সেসব অঞ্চলে রয়েছে রেল লাইনের বেরিকেটের দ্ওেয়ার অবহেলার অভাব। বেরিকেট না থাকায় ট্রেনের রাস্তার উপরে উচুঁ যে ভিটি আছে সে স্থানে অবৈধ স্ট্যন্ডের মেলা বসে থাকে। ফলে এই বেরিকেটের অভাবে ঘটছে ছোট থেকে বড় বড় দূর্ঘটনা।

ফতুল্লায় সরেজমিনে দেখা যায়, ফতুল্লা, পাগলা স্টেশনের রাস্তার দু’পাশের এক পাশেও নেই বেরিকেট। আবার ফতুল্লা শাজাহান রি-রুলিং মেইলের পাশে যে সড়কটি রয়েছে সে সড়কের দু’পাশের এক পাশেও নেই বেরিকেট। শাজাহান রুলিং মেইলের যে রাস্তাটি রয়েছে ট্রেন আসা সত্বেও বিনা বাধায় গাড়ি, রিক্সা চলাচল করছে। সেসময় একজন রিক্সা চালক শফিককে জিজ্ঞাসা করলে কেন সে ট্রেন আসা সত্বে রিক্সা নিয়ে রাস্তা পার হলো? শফিক তার উত্তরে বলেন, ট্রেনটা তো অনেক দূরে আছে তাই আমি গাড়ি নিয়ে চলে আসলাম। কোনো কারনে আপনার রিক্সাটা আটকে গেল তখন আপনি কী করতেন? তখন শফিক তার উত্তর দিতে পারেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিক বলেন, এখানে কখনোই দেখা যায়নি রেল বেরিকেট। এখানে বেরিকেট না থাকার কারনে মাঝে মাঝে ঘটে থাকে দুর্ঘটনা। অনেক সময় যখন ট্রেন আসে আরেক জন চিৎকার করে বলতে হয় তাড়াতাড়ি সরেন ট্রেন আসছে। তারপর লোকজন সরে যায় রাস্তা থেকে। আমরা চাই রেল লাইন কতৃপক্ষ যেনো বেরিকেটের ব্যবস্থা করে দেন।

ঘটনার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রেন মাষ্টার গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ টি রাস্তা আছে। ১৩ টি রাস্তা বৈধতা রয়েছে আর বাকি রাস্তাগুলো অবৈধ রাস্তা। ১৩ টি রাস্তার মধ্যে ১২টি রাস্তায় গেট বেরিয়ার আছে ও গেট ম্যানও আছে। অবৈধ্য রাস্তার মধ্যে গেট বেরিয়ার নেই। যেসব রাস্তায় গেট বেরিয়ার নেই সেসব রাস্তা গেট বেরিয়ার হবে কি না তা আমি বলতে পারবো না । গেট বেরিয়ারের সকল তথ্য রেল মন্ত্রী বলতে পারবেন।