আজ বুধবার, ২০শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জ বিএনপিতে দরকার পরিবর্তন

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই কার্যকর আন্দোলন গড়তে ব্যর্থ হচ্ছে বিএনপি। ফলে ১৬ মাসেও মুক্তি মেলেনি খালেদা জিয়ার। বর্তমান নেতৃত্বের ব্যর্থতা নিয়ে তাই কোন রাখ ঢাক না রেখেই সরব বিএনপির একাধিক নেতা। দলীয় প্রধানের মুক্তি ও দলকে বাঁচাতে অবিলম্বে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাইয়ের তাগিদ দিচ্ছেন তারা। কেননা, ঈদের পূবেই কারামুক্ত হবেন খালেদা জিয়া। ঠিক এমনই ভাষ্য ছিলো বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের। তবে সেই আশায় গুড়েবালি। এমনটাই মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক বোদ্ধামহল।

২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তখন থেকেই দলটির আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় দলীয় প্রধানের মুক্তি। তবে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপি যে কর্মসূচি পালন করছে সেটিকে যথেষ্ট ও কার্যকর মনে করছেন না নেতারা।

নেতাকর্মীদের মতে, আন্দোলনে পরিবর্তন আনা উচিৎ এবং নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য দুর্বার আন্দোলন প্রয়োজন, এটাই বাস্তবতা এবং এটা তৃণমূলের দাবি। হতে পারে অবরোধ, হতে পারে ধর্মঘট। এমন কার্যকর কর্মসূচি ছাড়া দেশনেত্রী মুক্ত হবে বলে সহযোগী সংগঠনগুলোও মনে করে না।

দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারার জন্য সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করছেন তৃণমূলের নেতারা। তাদের মতে, বিএনপি প্রস্তুত আছে, দলের মানসিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আছে। কিন্তু মানসিক সিদ্ধান্ত কার্যকরি করার জন্য যে সাংগঠনিক সক্ষমতা প্রয়োজন, তার অভাব আছে।

এদিকে, প্রশ্ন উঠেছে বর্তমান নেতৃত্ব নিয়েও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের মতে, যারা গুরুত্বপূর্ন নেতা আছেন, যাদের ওপর দায়িত্ব আন্দোলন পরিচালনা করার, তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। এই স্টান্ডিং দায়িত্বরত সকল নেতাদের পদত্যাগ করা উচিৎ। এই কমিটির কিছু নেতা দল পরিচালনার জন্য আনফিট।
নারয়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের শুধু মাত্র নেতৃত্বের অভাব।

কেউ একজন সামনে থেকে দলটির নেতৃত্ব দিলে অবশ্যই পরিবর্তন আনা সম্ভব ছিলো। নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি আর নেতৃত্বের অভাবেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আজ এই করুণ দশা। দলটির নেই কোন রাজ্য অথচ সবাই রাজা! নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র যেকোন স্তরের নেতাকর্মীই হোক না কেনো, এদলের সকলেই নেতৃত্ব প্রদান করেন অর্থ্যাৎ সবাই রাজা। কেউ কারও পক্ষে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে যেতে নারাজ।

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থেকেও তাদের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ কোন অংশেই কমেনি। ক্ষমতায় না থাকা যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের নেত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলহাজতে।

যিনি এখন জেলা হাজতে এই নেত্রীই কোন এক সময় বাংলাদেশ নামে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। নেত্রীর মুক্তির দাবীতে আন্দোলন গড়তে পুরোপুরি ব্যর্থ বিএনপি আর তাই দায়িত্বে থাকা কিছু নেতৃত্বের পরিবর্তন প্রয়োজন । এমনটাই মনে করেন জেলার সচেতন মহলের লোকজন।