নারায়ণগঞ্জে বন্যপ্রাণি অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের অভিযানে ফতুল্লা পাখির হাট, চাষাড়ার বিভিন্ন পাখির দোকান এবং হাজীগঞ্জ রেল লাইন থেকে ২৫ টি টিয়া, ৩ টি ময়না, ৪টি শরালি হাঁস, ২০ টি মুনিয়া, ২টি কালিম এবং ১৭ টি ঘুঘুসহ মোট ৭১টি দেশীয় পাখি এবং ২টি বানর ও ৬৫ টি কড়ি কাইট্টা (Indian Roofed Tirtle) সর্বমোট ১৩৮টি বন্যপ্রাণি উদ্ধার করা হয়েছে৷
শুক্রবার (২৮ জুন) ইউনিটের বন্যপ্রাণি পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিক ও অসিম মল্লিকের নেতৃত্বে এবং পরিচালক মিহির কুমার দোর সার্বিক দিক নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট জানায়, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী দেশীয় বন্যপ্রাণী ক্রয় বিক্রয় বা দখলে রাখা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ এবং এ আইন অনুযায়ী এসব অপরাধে ১ বছর কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি জায়গায় আইন লংঘন করে এসব বন্যপ্রাণী বিক্রি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে শুক্রবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে বিক্রেতারা আগেই বন্যপ্রাণি ফেলে সটকে পড়ে। পড়ে একই স্থানে বন্যপ্রাণি অপরাধ দমনে জনসচেতনতামূলক পথসভা করা হয়। বনপ্রাণি অপরাধ রোধকল্পে সমগ্র বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে এরকম আরো অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং প্রাণীগুলোকে পরবর্তীতে তাদের প্রকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।