নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আল্লাহ অসহায় মানুষদের পাশে থাকার জন্য আমাদের পাঠিয়েছেন দুনিয়াতে। আল্লাহ যাদের সৃষ্টি করেছে তাদের সে সেখানে রেখেছেন। যার যার যেমন দুঃখ রয়েছে, তারা আল্লাহ উপর বিশ্বাস রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাঠিয়েছেন, গ্রামে গ্রামে মানুষের সমস্যাগুলো জানার জন্য। শহর ও গ্রামের সাথে মিল নেই, গ্রামের সমস্যায় পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে প্রতিটি উপজেলায় গিয়ে মানুষের পাশে থাকছি, থাকব। আপনাদের মাঝে আমার জীবনটা বিলিয়ে দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী মানুষদের ভালবাসছেন, আজ মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদেরর ভাতা বৃদ্ধি করেছে। এটা কিন্তু আপনাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ম্যাসেজ। মাত্র টোকেন নিয়ে আসছি, সামান্য সামান্য দিয়ে বড় দিক যেতে চাই। বিনামূল্য বই বিতরণ করছে, জেলা পরিষদ থেকে বিনামূল্য শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছি, আরো করবো। আগামী শীতে দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। বঙ্গবন্ধুর নিদেশে দেশে স্বাধীনতায় নেমেছিল দেশের জনতা। সেই স্বাধীনতা আনার পর ৭৫ সালে তাকে সহ পরিবারের সকলকে হত্যা করা হলো। সেই চক্রান্তকারীরারা পাকিস্তান রূপান্তর করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলার জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ভঙ্গ করতে দেয়নি। যে মানুষ বাংলাদেশ করার জন্য নিজের রক্ত দিছেন, সেই তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ধরে রাখা ও আগামী প্রজন্ম কাছে তুলে ধরছে তাদের ভাতা সহ বিভিন্ন সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আজ সেই পরাজিত পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ হতে চায়, এটাই তো প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অবদান। বিশ্বের কাছ থেকে ভ্যাকসিন সহ বিভিন্ন বড় বড় পুরস্কার পাচ্ছেন। সেই প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসায় আজ আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছি। তিনি আমাকে ভাল জানেন, ভালোবাসেন। তিনি কিন্তু সব জানেন সব বুঝেন, দেশের সকল জনগণের মনের খবর জানেন। সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ দিয়ে জেলা পরিষদ থেকে সেলাই মেশিন বিনামূল্য বিতরণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে কয়েকবার হত্যা চেস্টা করেছে দেশ বিরোধীরা। আল্লাহ তায়ালা মানুষের পাশে দাড়ানো জন্যই সেই হত্যা চেস্টা বিনষ্ট করেছে। সকলের প্রচেস্টা মধ্যে আগামীর বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, সে দোয়া রাখি।
২৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টায় রূপগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৪৮ জন বিভিন্ন প্রতিবন্ধীদের মধ্যে বিনামূল্য হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রূপগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়া সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা শীলা রানী পাল, গোলাকান্দা ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলাম, ভোলাব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা হাসান আসকারী, দাউতপুর ইউপি মহিলা মেম্বার শাহিন আক্তার বৃস্টি, গোলাকান্দা মহিলা মেম্বার লাভলী মানিক, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার সোলায়মান, যুব অফিসার মাসুদ মুজমদার, অর্নিবান প্রতিবন্ধী স্কুলের পরিচালক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রূপগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়া বলেছেন, ২০০৯ সালের ক্ষমতা আসা পর শেখ হাসিনা নেতৃত্বে প্রতিবন্ধীদের প্রতি দৃস্টি দেয় সরকার। তখন তার কন্যা পুতুল বিশ্বে প্রতিবন্ধী ছায়া হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব পান, দেশের প্রতিবন্ধী মাঝে তিনি আলো ছড়িয়েছে। প্রায় ৪২০০ মত প্রতিবন্ধী আছে রূপগঞ্জ উপজেলা, সরকারী ভাবে তাদের ভাতা দেয়া হচ্ছে। সরকার তাদের ভরন পোষণ দিচ্ছে, আগামীতে উন্নত চিন্তা করছে। জেলা পরিষদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানায়, আরো কিছু বৃদ্ধি করা হোক হুইল চেয়ার। বিছানা ঘুমাতে, প্রয়োজনীয় কাজ করাতে একজন প্রতিবন্ধী কে নিয়ে ব্যস্ত থাকে পিতা মাতারা। সেখান মুক্ত করতে এই আধুনিক হুইল চেয়ার দেয়া হচ্ছে। সরকার যদি আবার ক্ষমতা আসে তার প্রতিবন্ধী নিয়ে চিন্তা করতে দিবে না সরকার। ইতিমধ্যে সরকার থেকে প্রতিবন্ধীদেরর কে শুভন্ন্য নাগরিক ঘোষনা করেছে।