নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেছেন, এখন আর কোন বাড়ি বা ব্যাক্তি কেন্দ্রীক এলাকা লকডাউন দেয়ার সুযোগ নেই। যে সকল এলাকা গুলো রেড জোন হিসেবে অধিক ঝুকিপুর্ণ অর্থ্যাৎ রুপায়ন সিটি, আমলা পাড়া এবং জামতলা এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকা গুলো পুরো লকডাউন থাকবে। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, এলাকা গুলো থেকে অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোন ব্যক্তি বাইরে আসতে পারবেন না বা বাইরে থেকে কোন ব্যক্তি এলাকায় যেতে পারবেন না। এলাকায় কোন গণপরিবহন থামবে না। কাঁচা বাজার বন্ধ করে ভ্রাম্যমান বাজার এর ব্যবস্থা করা হবে। ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোতে শুধু কর্মচারীবৃন্দ অন্যান্যদের যাতায়াত আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। সবার জন্য সকল স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদি ইমরান সিদ্দিকী বলেন, লকডাউন কার্যকর করার জন্য পুলিশ প্রশাসন ১০০% কাজ করবে। যখন পুরা জেলা লকডাউন ছিল তখনও পুলিশ কাজ করেছে। লকডাউন এলাকাগুলোতে কোন লোক বের হতে পারবে না এবং ভিতরে থাকা লোক বের হতে পারবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইমতিয়াজ বলেন, যে সকল এলাকায় লকডাউন করা হয়েছে ওই খানে আমাদের ডাক্তার থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে আমাদের টেলিমেডিসিন সেবা চলমান থাকবে। আমাদের টেলিমেডিসিন সেবা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গ্রহন করেছে। তিনি অন্যান্য জেলায় আমাদের টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহন করার কথা বলেন। কেননা এখানে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যুর পরিমান কম। তবে আমাদের প্রত্যেক ডাক্তাররা কাছে ১০০ জন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির নাম থাকবে তারা প্রতিদিন ফোন দিয়ে সবার খোজ খবর নিবে। কারো মেডিসিন প্রয়োজন হলে তখন মেডিসিন পাঠাবে।
আরআই/এসএমআর