সংবাদচর্চা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির মাঠ। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আছে জাতীয় পার্টির এমপি। আর বাকি তিনটি আসনে আছে আওয়ামী লীগের এমপি।
সবশেষ ২০১৪ সালের ২৬ জুন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন সেলিম ওসমান যাঁর ভাই নাসিম ওসমান ছিলেন আগের এমপি। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল নাসিম ওসমান মারা যান যিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বরও তিনি এমপি ছিলেন।
বর্তমান সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পাটি মহাজোটে না থাকায় নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আগামী নির্বাচনে সংসদীয় আসন ছাড় দিতে নারাজ।তাই নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনে নৌকার পক্ষে কথা বলছেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতারা। আর লাঙলের পক্ষে দীর্ঘদিন পরে এসে জোরালো কথা বললেন এমপি সেলিম ওসমান। আওয়ামী লীগের দাবী, দেশের বিভিন্ন স্থানে লাঙলের প্রার্থী দিলেও নারায়ণগঞ্জে চলবে না। আর শনিবার ৩১ মার্চ দলের চেয়ারম্যান এরশাদের উপস্থিতিতে জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমান ঘোষণা দিয়েছেন প্রয়োজনে ৫টি আসনে লাঙলের প্রার্থী দেওয়া হবে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে নিয়মিত জনসংযোগ করছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরজু রহমান ভূইয়া ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদির।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমেছেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুুর রহমান কালাম, অর্থনীতিবিদ আনোয়ারুল কবির।
৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানার ভেতরে বৈঠকে সেলিম ওসমান আগামী সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি সব সময় উন্নয়নের রাজনীতি করেছি। আমি প্রার্থী হই বা না হই নারায়ণগঞ্জে যাতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির কেউ নির্বাচিত না হতে পারে তার জন্য প্রয়োজনে ৫টি আসনেই লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্র্থী দেওয়া হবে। তখন দেখা যাবে জনগনের আস্থা কাদের উপর। উন্নয়ন নাকি ভাওতাবাজির পক্ষে ?
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই জানান, আগামীতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী দিতে হবে। দেশের অন্য এলাকাতে জোট হতে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিলেও আগামীতে যাতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকা ছাড়া বিকল্প কিছু না ভাবা হয় সে বিষয়টিও দলের সভানেত্রীকে জানানো হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকায় এখানে দলের নেতাকর্মীরা অবহেলিত। তৃণমূল সহ সবার দাবী যেন এখানে নৌকার প্রার্থী দেওয়া হয়। বিষয়টি আমাদের ফোরামেও আলোচনা হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী খোকন সাহা জানান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ১৭ বছর ধরে দলীয় কোন এমপি নেই। আর তাই প্রতিটি কর্মীর প্রাণের দাবি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী দেয়া। ৪২ বছর ধরে আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছি। আমার জুনিয়র অনেকেই মন্ত্রী হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আমি অবশ্যই প্রার্থী হবো। নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি অবশ্যই জয়ী হবো বলে আমার বিশ্বাস।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই জানান, আগামীতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী দিতে হবে। দেশের অন্য এলাকাতে জোট হতে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিলেও আগামীতে যাতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকা ছাড়া বিকল্প কিছু না ভাবা হয় সে বিষয়টিও দলের সভানেত্রীকে জানানো হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকায় এখানে দলের নেতাকর্মীরা অবহেলিত। তৃণমূল সহ সবার দাবী যেন এখানে নৌকার প্রার্থী দেওয়া হয়। বিষয়টি আমাদের ফোরামেও আলোচনা হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে।