আজ শনিবার, ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

না’গঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে ভোট হবে তো?

আল-আমিন মিন্টু
আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট হবে তো? তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, আড়াইহাজার উপজেলায়। নির্বাচনে ভোট হবার কথা রয়েছে ৩১ মার্চ।

মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ সময় ৪ মার্চ। বাছাইয়ের সময় ৬ মার্চ ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ মার্চ রবিবার। প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

তাও দলীয় প্রতীক পাচ্ছেন শুধু মাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। এরি মধ্যে প্রথম ধাপ থেকে তৃতীয় ধাপে যে উপজেলা গুলোতে নির্বাচন হয়েছে এতে অনেক উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা। এ উপজেলা গুলোতে গতকাল ৪ মার্চ মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময়, জমা পড়েছে ৩৭ জনের মনোনয়ন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩জন ও অন্য উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যদি এসব প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকেন তাহলে ভোট না হওয়ার সুযোগ নেই। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশিষ্টজনরা। আর এদের মধ্যে প্রত্যাহারের শেষ দিন যদি চেয়ারম্যান পদে একক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী মাঠে থাকে তাহলে ভোট হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

যারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবেন একক প্রার্থী হিসেবে তারা সিলেকশনে নির্বাচিত হয়ে যাবেন। এজন্য আগামী ১৩ মার্চ রবিবার বিকাল পর্যন্ত রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও, আড়াইহাজার উপজেলাবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে। ভোটের আমেজ জমে উঠার আগেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভোট হবে কি না?। তফসিল ঘোষণার পর থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য সরকার দলীয় একাধিক প্রার্থীর লবিং করতে দেখা গেলেও দেখা যায়নি বিরোধী দলসহ অন্যান্য দলের নেতাদের। রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও দলটি টানা দশ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করার পর গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছেন তৃতীয় বারের মতো।

এ নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বিশাল পরাজয় নিয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে সড়ে যাচ্ছেন দিন দিন এমনটাই বলছেন সাধারণ ভোটারগণ। জাতীয় পার্টি মহাজোটের সাথে থেকে বেশ কিছু আসন নিয়ে সংসদে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে রয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যপারে তেমন কোন আমেজ দেখা যাচ্ছে না।

স্থানীয় নির্বাচন গুলোতে আমেজ নেই এর কারন হিসেবে একাধীক লোকের সাথে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, ভোটের আমেজ এখন আগের মতো নাই। আগে মিছিল করতাম গরম গরম চান পান করতাম। বিষ্কুট, মোয়া, মুড়িসহ কত কি একসাথে খাইতাম। এখন ভোট আসলে আগের মতো মজা পাই না। আমার ভোট আমি দিব এমন খুশি আমার মনে পাই না। এমন অবস্থার জন্য কে দায়ি বলে মনে করছেন জানতে চাইলে আড়াইহাজারের মোকতার বলেন, মিছিল করমু কি! প্রার্থীরা ভোট চাইতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। অনেকেই এজন্য ভোটের আমেজ হারিয়ে ফেলেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রার্থীরা যদি নিজেদের পক্ষে ভোট চাইতে পারে এমন পরিবেশ দিতে পারলেই সরকারের সফলতা। ভোট না হওয়ার কোন কারন নেই। প্রার্থী যখন একাধিক তখন ভোট হবে। ভোট না হওয়ার কারন হলো যদি একক প্রার্থী হয়। এমন মন্তব্য করেন তারা।